মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো, ভুয়া মেডিকেল- অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে শাস্তি


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৩, ২০২২, ৫:৩১ অপরাহ্ণ / ৬৫
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো, ভুয়া মেডিকেল- অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:-  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে যেসব রিক্রুট এজেন্সি ভুয়া মেডিকেল ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

‘প্রত্যাশা প্রবাসীদের আশা’- শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও চিত্র প্রদর্শনীর যৌথভাবে আয়োজন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইওএম ও ব্র্যাক।

ইমরান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের কর্মীরা অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে কাজ পাচ্ছেন না। তাই আমরা কোন দেশে সর্বনিম্ন কত বেতনে যাবেন তার একটি চাহিদাপত্র তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছর জুলাই থেকে ১১ লাখ কর্মী বিদেশে গেছেন। আর মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু করলে, এই সংখ্যা এক বছরের মধ্যে ১৫-১৬ লাখ হয়ে যাবে।

প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে আমাদের কর্মীরা পান ৮০০ রিয়েল আর অন্যান্য দেশের কর্মীরা পান এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ রিয়েল। সেকারণে আমাদের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ও সহজ অভিবাসন সরকারের নীতি। আমরা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই জনগণের মঙ্গলের জন্যই সরকার কাজ করে। প্রত্যাশা সরকারেরই প্রকল্প। এর মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে ছোট এনজিওগুলোকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকায় নিযুক্ত ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন ড. ব্রেন্ড স্পেনিয়ের বলেন, প্রবাসীদের দেশের উন্নয়নে শক্তিশালী অবদান রয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশি প্রবাসীরা ২২ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। তবে আমরা নিরাপদ অভিবাসন প্রত্যাশা করি। সে লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে।ব্র্যাকের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন বিষয়ক পরিচালক সাফি রহমান খান বলেন, প্রবাসীদের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কোভিড-১৯ কালেও প্রবাসীরা উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসীদের বিদেশের যাওয়ার পাশাপাশি ফিরে আসার পরেও কোনো কাজে যুক্ত করতে চাই আমরা। প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে ব্র্যাকের অনেক উদ্যোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে আইওএম চিফ অব মিশন আব্দুস সাত্তার ইসব বলেন, নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে প্রত্যাশা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৫ বছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সহযোগিতা করছে বলে আমরা ধন্যবাদ জানাই।