মানববন্ধন হয় না দানবের বিরুদ্ধে : গয়েশ্বর


প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ৫:৪৬ অপরাহ্ণ / ৬৩
 মানববন্ধন হয় না দানবের বিরুদ্ধে : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক:- ঢাকা: যারা মানুষের ভোটের অধিকার মানে না, যারা গণতন্ত্র মানে না তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বেমানান। দানবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয় না। বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন,

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম মানববন্ধনের আয়োজন করে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলম ও মির্জা আব্বাসসহ যারা কারাবন্দী আছেন তাদের মুক্ত করব। মুক্তি কার কাছে চাইবো? যিনি ধরেছেন তিনি কি ছাড়বেন?

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হাসতে হাসতে বলেছিলেন, “কাউকে বাঘ ধরলে, বাঘ ছাড়ে। কিন্তু শেখ হাসিনা কাউকে ধরলে, তাকে আর ছাড়েন না”।

বিচার চাওয়া নিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, কার কাছে বিচার চাইব? বিচার বিভাগ যদি আলাদা হতো। বিচারপতিরা বলতে পারতেন আমরা স্বাধীন। বিচারপতিরা যদি বলতে পারতেন আমাদের বিবেক স্বাধীন। তাহলে না হয় আমরা বিচার পেতাম। কিন্তু আমাদের ন্যায় বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আমরা আর মুক্তি চাইবো না। আমরা মুক্ত করব।

তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্ত করবো গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে। আমরা মুক্ত করবো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। তার অপরাধ তিনি গণতন্ত্র চান। বাংলাদেশের মানুষের অপরাধ তারা গণতন্ত্র চায়। তারা তাদের ভোট নিরাপদে দিতে চায়। যাকে খুশি তাকে দিতে চায়। সুতরাং গণতন্ত্রের লড়াইয়ে যদি আমরা সফল হই, বাংলাদেশ মুক্ত হবে। সকল নেতাকর্মী মুক্ত হবে।

ঢাকাকে মুক্ত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আজকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলতে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। শেখ হাসিনা সকালে যা বলেন দুপুরে আদালতে তাই রায় হয়। ওবায়দুল কাদের ও হাসান মাহমুদরা টেলিভিশনে দাঁত বের করে খিস্তি-খের ছাড়ে সেগুলোই আদালতের রায় হয়। সুতরাং বলা যায় আদালত স্বাধীন নয়, স্বাধীনভাবে কাজ করে না। সে কারণে আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের কোনো বিকল্প নাই। আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ ঢাকামুখী হবে। ঢাকাকে মুক্ত করতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে এবং যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম আলীম, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খাল শিমুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন, ওমর ফারুক শাফিন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইউনুস আলী।