জেলা প্রতিনিধি :- মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার আবাদও হয়েছে অনেকাংশে বেশি।
খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হওয়াতে জেলার প্রায় প্রতিটি অঞ্চলের চাষিরা অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্য বছরের তুলনায় ফলনে আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছে চাষিরা। আর এ কারণে খরচের চেয়ে তিন গুণ লাভ হবে বলে মনে করছেন তারা (চাষিরা)। জেলার প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে এখন ভুট্টা খেত থেকে তুলার অপেক্ষায় রয়েছে, বাজার মূল্য ভালো পাবে বলেও আশাবাদী চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার হেক্টর জমি কিন্তু সেখানে ভুট্টার আবাদি জমির পরিমাণ ১৭ হাজার ২০ হেক্টর যা কিনা শতকরা ১০৬ শতাংশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় এবছর ভুট্টার আবাদি জমির পরিমাণ বেশি হওয়াতে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলি জমি। অন্য ফসলের তুলনায় কয়েক গুণ লাভ বেশি হওয়াতে স্থানীয় চাষিরা ভুট্টা আবাদে ঝুঁকছেন। এক বিঘা জমিতে মোট খরচ হয় ছয়-সাত হাজার টাকা। আর খরচ বাদে লাভ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে এবছর প্রায় ৩৫-৪০ মণ ভুট্টা হবে বলেও ধারণা করছেন চাষিরা।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদি জমির পরিমাণ বেশি। আমাদের মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা চাষিদের বিভিন্নরকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যাতে করে ভুট্টার ফলন ভালো হয়। এখন ভুট্টার বাজারমূল্য ভালো পেলে তারা খরচ বাদেও কয়েক গুণ লাভ করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন এই কৃষিবিদ।
আপনার মতামত লিখুন :