বোদায়  হানাদার মুক্ত দিবস পালন ও বর্ণাঢ্য রেলী


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১, ২০২২, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ / ১২৫
বোদায়  হানাদার মুক্ত দিবস পালন ও বর্ণাঢ্য রেলী
মাজহারুল ইসলাম পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ ১লা  ডিসেম্বর (বহস্পতিবার) পঞ্চগড়র বোদায় নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে বোদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সাল ১ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বোদাকে মুক্ত করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা।
দিবসটিকে যথাযাগ্য মর্যাদায় স্মরণ করার লক্ষ্যে  সকাল বোদা উপজলা প্রশাসন  ও বোদা একুশ স্মৃতি পাঠাগার উদ্যোগে বোদা কদ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এর পর, বোদা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন পেশাজীবি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর বক্তব্য রাখেন বোদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাঃ ফারুক আলম টবি, বোদা উপজেরা সদ্য সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মকলছার রহমান জিল্লুর, একুশ স্মতি পাঠাগারের সভাপতি শেখ আবুল হাসেন শিলন প্রমুখ।
এ সময় বীর মুক্তিযাদ্ধা ও মুক্তিযাদ্ধার সন্তান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, বোদা একুশ স্মৃতি পাঠাগারের সকল সদস্যগন  উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযাগিতা ও সন্ধ্যায় নগর কুমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বীরগ মুক্তিযাদ্ধা কমরড মাহাম্মদ এর উপর কুইজ প্রতিযাগিতা ও পুরস্কার বিতরণী, আলাচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লখ্য, ৬নং সেক্টর কমান্ডার মেজর আবুল বাশার, স্থানীয় লিডার সদরুদ্দিন, ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার, ল্যাপ, মাসুদুর রহমান, ল. আব্দুল মতিন চৌধুরী, ল. মোম হাসান আলী (আইও), মেজর কাজিমউদ্দিন, গেরিলা যোদ্ধা কমান্ডার মাহবুব আলমসহ অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধ জোরদার করেন।
এর ফল ১৯৭১ সালর নভেম্বর মাসে নতুন নতুন এলাকা মুক্ত হতে থাকে। মুক্তি ও মিত্রবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয় ২০ নভেম্বর অমরখানা, ২৫ নভেম্বর জগদলহাট, ২৬ নভেম্বর শিংপাড়া, ২৭ নভেম্বর তালমা, ২৮ নভেম্বর পঞ্চগড় সিও অফিস এবং ওই একই দিন আটায়ারী ও মির্জাপুর মুক্ত করেন।
মুক্তিযাদ্ধারা চারদিক দিয়ে পাকবাহিনীর ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ শুরু করে। মুক্তিবাহিনী  ও মিত্রবাহিনীর ট্যাঙ্ক ও পদাতিক বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে পাকবাহিনী পরাজিত হয়ে পঞ্চগড় এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। এভাবেই ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় পাকবাহিনী মুক্ত হয়। পরের দিন ১লা ডিসেম্বর বোদা থানা মুক্ত করেন।