বেসরকারি স্কুলে সাড়ে ছয় লাখ আসন শূন্য, উন্মুক্ত ভর্তির সিদ্ধান্ত


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১২, ২০২২, ৮:০০ অপরাহ্ণ / ৯৪
বেসরকারি স্কুলে সাড়ে ছয় লাখ আসন শূন্য, উন্মুক্ত ভর্তির সিদ্ধান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:- রকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে ফলাফল ও অপেক্ষামান তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বেসরকারি স্কুলের ভর্তির লটারি আয়োজন করা হবে। সরকারি স্কুলে আসন প্রতি ছয়টি করে আবেদন আসলেও বেসরকারি দুই হাজার ৮৫২টি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৬ লাখের বেশি আসন খালি থাকছে।

সে কারণে বেসরকারি স্কুলে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে নীতিমালা অনুসরণ করে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপরও অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে না। তবে শিক্ষার্থী ভর্তি না হলেও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সরকারি বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের ভর্তি লটারি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি স্কুলে আসন প্রতি ৬টি করে আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে কিছু আবেদন বাইরে রয়েছে। তারা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানে একজনও ভর্তি হয় না এমনটা হয় না। ন্যূনতম দুই-তিন জন ভর্তি হয়ে থাকে। ভালো স্কুলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আবার কোথাও যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোথাও যদি শিক্ষার্থী ভর্তি না হয় তবে আমরা সেটি বন্ধ করতে পারি না। যদি একেবারে কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ ভর্তি না হয় তবে বুঝতে হবে আমাদের আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজন নেই। তখন সেগুলো বন্ধ করতে হবে। একসময় সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে। এর বাইরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

মাউশি থেকে জানা গেছে, এবার সারাদেশে ৫৫০টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এক লাখ সাত হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নেওয়া হবে। সোমবার লটারির মাধ্যমে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তার পাশাপাশি শূন্য আসন অনুযায়ী ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯টি আসনের জন্য অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হবে। যদি লটারিতে নির্বাচিত কেউ ভর্তি না হয় তবে অপেক্ষমান থেকে ভর্তি নেওয়া হবে।

আগামীকাল মঙ্গলবার বেসরকারি স্কুল ভর্তির লটারি আয়োজন করা হবে। এবার সারাদেশে দুই হাজার ৮৫২টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে নয় লাখ ২৫ হাজার ৬৬টি আসন শূন্য রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি আবেদন এসেছে। সেই হিসাবে প্রতি সাড়ে তিনটি আসনে একজন মাত্র আবেদনকারী। ছয় লাখ ৬৪ হাজার ১৩৩ টি আসন খালি থাকছে। মোট আসনের প্রায় ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী খালি থাকতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।