বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং


প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ / ৭৬
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং

নিজস্ব প্রতিবেদক :- ঢাকা: বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ প্রাথমিক জ্বালানি সংকট, যেহেতু প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানি নির্ভর।

সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সার্বিকভাবে বেসরকারি খাতে এবং বিদ্যুৎ নির্ভর শিল্পকারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এমনিতেই দেশের বেসরকারি খাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে ইতোমধ্যেই প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

ডিসিসিআই সভাপতির আশা করেন, সরকার স্থানীয় শিল্প এবং বেসরকারি খাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তীতেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যেহেতু এটা দৃশ্যমান যে, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে এবং সেই সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে, তাই ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সরকারের কাছে আহ্বান করেন, সরকার যেন বিদ্যুতের মূল্য সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে, যাতে করে বেসরকারি খাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে।

ব্যারিস্টার সাত্তার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্য বৃদ্ধির হয়তো কোনো বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে করে এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার যেন পুনরায় এই বর্ধিত মূল্য, হ্রাসের উদ্যোগ নিতে পারে। বিষয়টি কোনোভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জ্বালানি আমদানির ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল, এমতাবস্থায় নবায়নযোগ্য ও বিকল্প জ্বালানির উৎস খুঁজে বের করতে এবং একই সাথে স্থানীয়ভাবে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে প্রাধান্য দিতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে স্বল্পতার সংকট মোকাবিলায় সরকারকে নিয়মিতভাবে সকল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা যাচাই করা এবং সিস্টেম লসকে হ্রাস করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

শিল্প ও বিনিয়োগ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ধরে রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করে বলে উল্লেখ করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।