কালিয়া উপজেলা বাঁকা মোল্লার নামে নারী পাচারের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ১:১৩ অপরাহ্ণ / ১২২
কালিয়া উপজেলা বাঁকা মোল্লার নামে নারী পাচারের অভিযোগ
ক্রাইম রিপোর্টার ঃ নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে নারী নির্যাতন এবং  নারী পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে তিন ভাই মোঃ বাঁকা মোল্লা, মোঃ  আমিরুল মোল্লা পিতা ঃ মো আরজান মোল্লা বিরুদ্ধে।আরো জড়িত আছে মোঃ বাঁকা মোল্লার মামাতো ভাই খড়লিয়া গ্রামের মোঃ তুষার মোল্লা,  পিতাঃ মোঃ আবজাল মোল্লার বিরুদ্ধে ।
২৮ ডিসেম্বর ( বৃহস্পতিবার ) ওই গ্রামে অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এলাকার  রুপা খাতুন বলেন মোঃ বাঁকা মোল্লা (৫৮) সাতটা বিবাহ করেছে। মোঃ বাঁকা মোল্লা  মেয়েদের কোথা থেকে এনে বিবাহ করে, আমরা কেহ সহজে জানতে পারি না। কারণ তারা কোনো মানুষ তাদের বাড়ি ঠুকতে দেয় না ভয়ে, যদি এলাকার লোক জেনে ফেলে বিবাহ করে ভারতে পাচার করে। এক একটি বিবাহ করে যখন ভারতে পাচার করে তখন  আমাদের থানা থেকে পুলিশ এনে আমাদের হয়রানি করে, যাতে আমরা মিডিয়া এবং ভুক্তভোগীর সজনদের কাছে, তাদের অপকর্মের কথা না বলি।  আমরা জানতে পেরেছি কিছুদিন আগে মোল্লার হাট থেকে  মো সূর্য মিনির মেয়ে রাখি (২৫) কে  এনে বিবাহ করেছে। সেই মেয়েকে শারিরীক ভাবে অনেক নির্যাতন করতো। হঠাৎ শুনি তার স্ত্রী নিখোঁজ। এটা ও মনে হয় খুব সম্ভব  রাতে  ভারতে পাচার করেছে। তিনি আরো বলেন এই মেয়ে গুলি পাচার করে তার মামাতো ভাই মো তুষার মোল্লার মাধ্যমে। মো তুষার মোল্লা  হুন্ডির ব্যবসায়ি,নারী পাচারকারী, সন্ত্রাসী এবং মাদকদ্রব্যের সম্রাট বলে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত । আমরা এলাকার লোক যাতে মুখ না খুলি সেই কারণে চার মহিলা রূপা বেগম, ছালমা বেগম,আমেনা বেগম, কেয়া বেগম নামে পেড়লী র ফাড়িতে  অভিযোগ করে, আমরা তার স্ত্রী কে ঘর থেকে বাহির করে দিছি। মো বাকা মোল্লা কিছু দিন পর পর বিবাহ করে ভারতে পাচার করে আর আমাদের মুখ বন্ধ করতে পুলিশ এনে হয়রানি করে এবং খড়লিয়া থেকে মস্তান এনে ও ভয় দেখায়। আমরা এলাকাবাসী মো ঃ বাঁকা মোল্লা এবং ওর ভাই আমিরুল  মোল্লা সহ মামাতো ভাই অপকর্মের সম্রাট মোঃ তুষার মোল্লা যাতে নিরীহ মেয়েদের এনে নির্যাতন সহ ভারতে পাচার না করতে পারে এবং আমাদের পুলিশ দিয়ে যেনো হয়রানি না করে তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে এর সঠিক বিচার চাই। অভিযুক্ত মো বাঁকা মোল্লা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বন্ধ করতে সাংবাদিক কে অর্থ দিতে চাই এবং না নিতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে হুমকি ধামকি দেয়।
এ বিষয়ে ১০ নং পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো জারজিদ মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন  তারা প্রায় ইন্ডিয়ায় যাতায়েত করে  তবে কেনো ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত আছে কি না এ বিষয়ে জানা নেই ।