ফ্লু তেমন কোন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে না এবং এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে এই রোগ মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। ফ্লু এর উপসর্গগুলি অনেকটা সাধারণ সর্দি কাশির মতো। তাই আনেকেই সর্দি-কাশি ভেবে এই রোগকে অবহেলা করে যা কখনো কখনো মারাত্মক জটিল সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধদের (যাদের বয়স ৬৫ বছরের উর্দ্ধে) ক্ষেত্রে ফ্লু থেকে সাবধানতা গ্রহন করা অতীব জরুরী। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে গ্লু এর কারণে যত লোক মারা যায় তার অধিকাংশই বয়োবৃদ্ধ। বয়োবৃদ্ধ ছাড়াও পূর্ণবয়স্ক এবং শিশু যারা শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ (অ্যাজমা), হৃদরোগ, কিডনিজনিত সমস্যায় ভুকছে তাদের জন্য ফ্লু ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও এই রোগের কারণে কর্মক্ষেত্রে এবং শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার বেড়ে যায়। কাদের ক্ষেত্রে ফ্লু তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচাইতে বেশি?
• অ্যাজমা এবং COPD এর রোগী
* হৃদরোগী,ডায়াবিটিসের রোগী, কিডনি এবং লিভার সমস্যায় ভুকছে। এমন রোগী
• যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম যেমন এইডস এর
রোগী
• অন্যদেশে ভ্রমণকারী
এছাড়া আরও ফ্লু ঝুঁকিতে আছেন যাদের বয়স
/ ৬০ বছরের উর্দ্ধে
- ৫ বছরের কম বয়সের শিশুরা বিশেষত ২ বছরের কম যাদের বাস
গর্ভবতী মহিলা।
কি ভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করা যায়?
• স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন করা
• সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে এবং অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড রাব ব্যবহার
করতে হবে।
• অকারণে হাত চোখে, নাকে এবং মুখে দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে * হাঁচি, কাশির সময় মুখে রুমাল/টিস্যু দ্বারা নাক, মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
• অসুস্থ রোগীর সেবা করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
ভ্যাকসিনেশন