ফারদিন হত্যা: বুশরার জামিন বিষয়ে আদেশ রোববার


প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ৮:০০ অপরাহ্ণ / ৯০
ফারদিন হত্যা: বুশরার জামিন বিষয়ে আদেশ রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক:- ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার (৮ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসীন ইফতেখার জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন।

একই আদালতে এদিন দুপুরে বুশরার পক্ষে জামিন শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রাখেন। পরে সন্ধ্যায় আদালত থেকে জানানো হয়, রোববার জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
এদিন জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল ও আব্দুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ।

শুনানিতে তারা বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। ডিবি ও র‌্যাব তদন্ত করে জানিয়েছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টও এসেছে আত্মহত্যার। বুশরা মেধাবী শিক্ষার্থী। বিতর্ক করার সময় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। দুই তদন্ত সংস্থা তন্ন তন্ন করে দেখেছে ঘটনা কি। বুশরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় মর্মে তদন্তে পেয়েছে। বুশরাকে ১০টায় নামিয়ে দেয়। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এখানে বুশরার কোনো দায় নেই।

তারা আরও বলেন, বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এটা পাওয়া যায়নি। আমরা মানবিক কারণে এসেছি জামিন চাইতে। দয়া করে, তাকে জামিন দিন।

বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট শামীম হাসান জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, বুশরা এজাহারনামীয় আসামি। মামলার তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে আরও তদন্ত হওয়া দরকার। এ অবস্থায় আসামি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। এজন্য তার জামিনের বিরোধিতা করছি।

শুনানিকালে ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা আদালতে হাজির ছিলেন।

গত ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন দুপুরে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। গত ১৬ নভেম্বর তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। একইদিনে তার পক্ষে করা জামিন আবেদন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নামঞ্জুর হয়। এরপর তার পক্ষে দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারি বিবিধ মামলা করেন আইনজীবী।

গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত চার বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ফারদিনের। ওই তরুণী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ৪ নভেম্বর একসঙ্গে ঘোরাফেরার পর রাত সোয়া ১০টায় বাসায় ফিরে যান বলে পুলিশকে জানান ওই তরুণী।

এরপর গত ৯ নভেম্বর দিনগত রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।