প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যাচ্ছে আজ


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ / ৬৪০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যাচ্ছে আজ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে রেলের সংযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং নানা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তিন বছর বিরতির পর এই সফরকে ‘বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ’ মনে করছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার চার দিনের সফরে দিল্লি আসছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রেলের আধুনিকায়ন, কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহারসহ অন্তত পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এসব এমওইউ সই হবে।

জানা গেছে, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে দুই দেশ সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সেপা) সইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেপা সইয়ের মাধ্যমে এর সুফল পেতে হলে নানা মাত্রায় সংযুক্তি এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও সুশাসনের প্রেক্ষাপটে রাজনীতির প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষে গতকাল রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনিষ্পন্ন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা অর্জন করা যাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক গভীরতর হওয়াসহ সার্বিকভাবে এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ গৃহীত হবে।

দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সকালে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই নিকট প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে তাঁরা একান্ত বৈঠক করবেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সাতটি প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও সংযুক্তিতে সহযোগিতা, পানিসম্পদে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও জনগণের মেলবন্ধন এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা,
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী গতকাল সকালে তাঁর দিল্লির বাসায় আইনের চোখকে বলেন, দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কের বাঁক বদলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন, রেলের সংযোগ, যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সম্পর্কের ভবিষ্যতের স্বার্থে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে নতুন কিছু করা দরকার। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সেপা) করা দরকার। এর মাধ্যমে বিনিয়োগ সুরক্ষা ও সেবার বিষয়টা গুরুত্ব পাবে।