প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৭, ২০২২, ৫:০৮ অপরাহ্ণ / ১৫৯
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ১৮-১০-২০২২ ইং তারিখে আমাদের কালভেরী এ্যাপষ্টলিক র্চাচের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিশপ মহোদয়ের বিরুদ্ধে “দৈনিক আইনের চোখ” পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত সংবাদ সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট কাল্পনিক ষড়যন্ত্র ও প্রতারনার এক প্রতিচ্ছবি। এই লেখার মাধ্যমে কোন চার্চকে শুধু ছোটই নয় বরং আমাদের ঐতিহ্যবাহী কালভেরী এ্যাপোষ্টলিক চার্চ কে ব্লাক মেইল করার একটা অপচেষ্টা লক্ষ্য করছি। আমরা কালভেরী এ্যাপষ্টলিক চার্চ এর সকল ষ্টাফ পুরোহিতগন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এটা কোন সরকারী বা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নয়। মিশনের নিয়ম মেনে কাজ করলে অর্থ আছে,চাকুরী আছে। এটি সম্পূর্ণ সেবামূলক মিশনারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

আর আমাদের বিশপ ডঃ জন হীরা সরকারী ও বিদেশী দাতা সংস্থার নিয়মনীতি মেনেই ১৯৭৮ খ্রিঃ থেকে সুনামের সহিত প্রতিষ্টাতা পরিচালক হিসাবে কাজ করে আসছেন।বিদেশী দাতা সংস্থা তাকে যে মহান দায়িত্ব প্রদান করেছেন তাতে কেহ ষড়যন্ত্র প্রতারনা ও বাধা সৃষ্টি করলে, তিনি আইনের আশ্রয় নিতেই পারেন, এটি তার নাগরিক অধিকার। আমি পাষ্টার বিধান বৈরাগী,আমার সম্বন্ধে যে লেখা পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন তাও সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক ও ষড়যন্ত্রের চাবিকাঠি। বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠিতা পরিচালক বিশপ ডঃ জন হীরা ও বিদেশী মিশনারীগন যৌথভাবে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ হতে আমাকে নড়াইল বেনাহাটি চার্চের পুরোহিত হিসাবে নিয়োগদান করেন। কিছু স্বার্থন্বেষীমহল আমার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু মিথ্যা সবসময়ই মিথ্যা দূর্বলতা বহন করে। আর সত্য কখনোই অন্যায়ের নিকট মাথানত করে না। কিছু নামধারী স্থানীয় খ্রীষ্টিয়ার ব্যক্তি আমার নিকট চাঁদা দাবী করে, তাতে তারা কোনভাবেই সফলতা লাভ করতে পারেন নাই। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস(বড়দিন) আসলেই নামে বেনামে সরকারী অনুদানের টাকা উত্তোলন করে পকেটভারী করে আসছেন।

যাহাদের কোন চার্চ বা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নাই। তাহারা আমাকে আমাদের চার্চের নামে বিভিন্ন স্থানে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে বড়দিনের টাকা উত্তোলন করে তাদের নিকট দিতে বলেন, শুধু তাই ই নয়,তাহারা আমাকে প্রস্তাব দেন ৫০% তারা নেবেন এবং ৫০% আমাকে দেবেন। আমি স্পষ্ট  বলতে বাধ্য হই যে নড়াইল জেলায আমাদের একটি মাত্র চার্চ। আর একটি চার্চের নামেই অনুদানের টাকা তুলব।আমার দ্বারা এই প্রস্তাব গ্রহন করা অসম্ভব। আমার নামে লেখা হয়েছে আমি স্থানীয় খ্রিষ্টানদের সহিত দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েছি কথাটি সম্পূর্ন মিথ্যা। যখন তাহারা তাহাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারেন নাই, তখন তাহারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে। ২০২০ খ্রিঃ থেকে আমি এককভাবে অনুদান উত্তোলন করে সেই অর্থ দিযে নিয়মিত প্রীতিভোজ করে আসছি। নড়াইল জেলার প্রায় ৪০ টি চার্চের নামে বড়দিনের টাকা উত্তোলন করে আসছে, কেহই এই টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না।আমাদের প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠানে প্রতি বছর সরকারী কর্মকর্তাগন এবং স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিগনও অংশগ্রহণ করে আসছে। এছাড়া আমি বেনহাটি চার্চে যোগদানের পর হতদরিদ্র মানুষকে মিশনের পক্ষে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় নড়াইল জেলায় একমাত্র আমি কালভেরী এ্যাপষ্টলিক চার্চের পক্ষে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসহায় লোকের পাশে অবস্থান করি। তাহার যথেষ্ট প্রমান আমার নিকট সংরক্ষিত আছে।

সম্পত্তি প্রসংগে ১৫-১০-২০২২ ইং প্রচারিত প্রতিবাদে উল্রেখ করি যে বিশপ ডঃ জন হীরা যুক্তরাষ্ট্রের ১৫/২০ টা অঙ্গরাজ্যে খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচার করে যে উপহার পান তাতে কি তার গরীব থাকার প্রশ্ন উঠে? ব্যক্তিগত উপহার ও মিশনারী ফান্ড সম্পূর্ন ভিন্ন। ব্যক্তিগত উপহার তিনি ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারেন। আমার বোধগম্য নয় যে একই বিষয়ে ঘুরিয়ে ফিরিযে বারংবার আমাদের ও আমাদের মিশন কে কেন হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে?

আইনের চোখ পত্রিকায় একটা রেকর্ডীয় পর্চা প্রকাশ করা হয়েছে যাহা বিশপ মহোদযের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। উক্ত পনের শতক সম্পত্তি বিশপ মহোদয়ের ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে তিন ভাইয়ের নামে ক্রয় করে। যে ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে মিশনের নামে জমি ক্রয় করে দিতে পারে,ইহা যদি অপকর্ম না হয়, তাহলে ব্যক্তিগত ফান্ডের টাকা দিয়ে নিজের নামে ক্রয় করলে কুকর্ম হয কিভাবে, তা বোধগম্য নয়? বিশপ মহোদয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যে তামাশা করা হচ্ছে যাহারা এই পত্রিকায় লিখছেন তাহারা কতটুকু অবগত।

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার ধরন থাকে, আমাদের স্কুলগুলিও প্রাইমারীর ধরন। তাছাড়া আমাদের মিশন ফান্ড ও বিশপ মহোদয়ের ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের অসহায় ছেলেমেয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত কেন? ফান্ড প্রসংগে বলতে চাই, এর পূর্বের প্রতিবাদে উল্লেখ করেছি ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ হতে এখন অবধি ভূয়া অর্থ এনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্ভব? দাতা সংস্থা ও সরকারী কাগজপত্রই এর যথেষ্ট প্রমান বহন করে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও মিশনারী দুটিই ভিন্ন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করলে বাংলাদেশে তথা বাহিরের দেশে অনেক বড় গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরী করা সম্ভব ছিল। তিনি তা না করে মানব সেবায সমস্ত কিছুই ব্যয় করেছেন। কারন এটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়। বিদেশী সংস্থা মিশনারী প্রতিষ্ঠান কে ব্যবসা করার জন্য অর্থ প্রদান করেন না। তদরুপ আমাদের বিশপ মহোদয় ও কালভেরী এ্যাপষ্টলিক চার্চের কোন ব্যবসা প্রতিষ্টান নাই। জমি জায়গা যাহা আছে তাহা মিশনারীগন অবগত আছে। দুজন বিদেশীর কথা পত্রিকায় এসেছে,তারা এখন আর বেচে নাই। কিন্তু তাহার উত্তরসূরীদের সহিত বিশপ মহোদয়ের সুসম্পর্ক বজায় রহিয়াছে। উলুবনে মুক্তা ছড়ানো ঠিক নয়, মাথা ব্যাথা হলে উত্তরসূরীদের হওয়া প্রয়োজন অন্য কারো নয়। অভিযোগ থাকলে তাদেরই অভিযোগ থাকার কথা। এমন কি তারা পরিবর্তন করতে পারে। অন্য ব্যক্তিদের এত মাথাব্যাথা কেন? প্রত্যেক বিশপের ব্যক্তিগত ফান্ড থাকে বা আছে। বিশপ মহোদয় তার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে মিশনের জন্য মিশনের নামে জমি ক্রয় করে এখনও প্রতিষ্টান পরিচালনা করে আসছেন। বিশপ মহোদয়ের টাকায় বিশপ মহোদয়ের নামে জমি ক্রয় করলে কি কোন সমস্যা আছে? বিশপ মহোদয়ের ব্যক্তিগত ফান্ডের টাকায় পড়াশুনা করে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অনেকে আজ দেশে বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত কিছু স্বার্থন্বেষী মহল ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য মহৎ সেবা কাজে বাধা সৃষ্টি করে আসছে।

পরিশেষে বলতে চাই যে, অযথা একটি বিষয় নিয়ে কোন সম্মানিত মানুষের ও প্রতিষ্ঠানের মান সম্মান নিয়ে খেলা না করে মহৎ কাজ কে উৎসাহিত করুন। বিশপ মহোদয় ১৯৭৮ খ্রিঃ থেকে দেশের আইন কানুন অনুযায়ী মানব সেবার কাজ করে যাচ্ছেন। পর্দার আড়ালে কাদা ছুড়াছুড়ি না করে সম্মুখে নাম প্রাকাশ করে সত্যতা নিয়ে লড়াই করুন। একই পত্রিকায় বারবার প্রতিবাদ দেওয়ার পরও কিভাবে আবারও সেই একই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই পত্রিকায় লেখা হয়, তাহা আমার বোধগোম্য নয়।এখনও যদি আপনারা অপপ্রচার থেকে বিরত না হন তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিশপ মহোদয় ও কালভেরী এ্যাপষ্টলিক চার্চ আইনের আশ্রয় নিতে পিছু হবে না।

প্রচারে,

কালভেরী এ্যাপষ্টলিক চার্চের পক্ষে

পাষ্টর বিধান বৈরাগী।