আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- প্যান্ট না পড়ে মেট্রো রেলে ভ্রমণ! এমন আজব কথাও শুনেছেন কখনো? বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। এই মেট্রো রেলে চড়বেন। গন্তব্যস্থলে পৌঁছেও যাবেন নির্দিষ্ট সময়ে। জামা, জুতোসহ বাকি সব ঠিক থাকবে। কিন্তু প্যান্ট পরা চলবে না। এক দিনের জন্য এমনই আজব নিয়ম পালন করা হয় বিশ্বের বেশ কিছু দেশে।
অদ্ভুত এই নিয়মের পোশাকি নাম ‘নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’। বছরের একটা বিশেষ দিনে শরীরের নীচের ভাগ অনাবৃত রেখেই টিউব রেলে চড়েন স্থানীয়েরা। এই বিশেষ রীতি প্রথম চালু হয় নিউইয়র্কে ২০০২ সালে।
ইমপ্রুভ এভরিহোয়্যার, এটি নিউ ইয়র্কের একটি কমেডি পারফরম্যান্স আর্ট গ্রুপ। এই কমেডিয়ান গ্রুপের পক্ষ থেকে ২০০২ সালে প্রথম ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’এর সূচনা করা হয়। প্রথম বারে প্রায় ১৫০ জন অংশ নিয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে।
সংস্থার সদস্যেরা চেয়েছিলেন, একঘেয়ে রুটিনের বাইরে মানুষ একটু অন্য রকম কিছু করুক। গত বাঁধা জীবনের বাইরে পা ফেলুক।
আর সেই জন্যই তারা চেয়েছিলেন খবরের কাগজ আর মোবাইলের বাইরে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে। সেই চিন্তা থেকেই এমন অভিনব ভাবনা তাদের মাথায় আসে।
এরপর থেকেই সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয় ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’-এর ভাবনা।
এই মুহূর্তে বোস্টন, বার্লিন, প্রাগ, পোল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১২টি দেশে এমনটা হয়। ২০১৬ সালে প্রথমবার এই ‘নো প্যান্টস রাইড’-এ অংশ নেয় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোও।
এই মজার ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন ম্যানহাটনের পিটার সেজ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, অনেকে ভাবেন আমরা হয়তো কিছু অন্যায় করছি। কিন্তু তিনবার এই ইভেন্টে অংশ নিয়েছি আমি। এটা শুধুই একটা মজা, এর বেশি কিছু নয়।
ফিলাডেলফিয়ায় এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বিখ্যাত এক ‘লন্ড্রি’ সংস্থা। যারা এই ইভেন্টে অংশ নেন, তারা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এসে প্যান্ট খুলে ফেলেন। পরে সেই প্যান্টগুলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
আয়োজক সংস্থার বক্তব্য, মানুষকে নিখাদ আনন্দ দেওয়াই এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য। গত ৮ জানুয়ারি বিশ্বের অনেক দেশে পালিত হয়েছে এই ‘নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’।
সম্পাদক ও প্রকাশক :- তাসলিম হাসান। অফিস :- ৩৩ তোপখানা রোড, মেহেরুবা প্লাজা,পল্টন,ঢাকা -1000। মোবাইল :- 019 12 420 228 । ইমেল :- ainerchokh03@gmail.com। ওয়েবসাইট :- www.ainerchokh.com। ওয়েবসাইট :-www.epaper.ainerchokh.com।
ই পেপার