পাবনাবাসী সারাদিনে সূর্যের দেখা পাননি 


প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ / ৮২
পাবনাবাসী সারাদিনে সূর্যের দেখা পাননি 

জেলা প্রতিনিধি পাবনা :- পাবনায় তিন-চার দিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পাবনার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিনব্যাপী সূর্যের দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড ঠান্ডার পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারদিক। কোথাও কোথাও বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। হিম বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের করছেন অনেকে। হাটে, মাঠে ও নৌবন্দরে কৃষক- শ্রমিকের কাজ করায় বিঘ্ন ঘটেছে।

শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় নদী পাড়ের বসবাসকারীদের দুর্ভোগে চরমে। নদীর পাড় ঘেঁষে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অবস্থিত। এ কারণে ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতা এখানে বেশি। শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ বেশি।

মঙ্গলবার ঘাটে জাহাজ ভিড়েছে দু-একটা। লোড আন-লোডের কাজ হয়নি বললেই চলে। কারণ সূর্যের দেখা না পাওয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল পুরো ঘাট এলাকা।

চাটমোহর উপজেলার চলনবিলের কৃষকরাও দুর্ভোগে পড়েন। প্রচন্ড শীতে মাঠে ঠিকমতো কাজও করতে পারেননি তারা।

এখন পেঁয়াজ চাষের ভরা মৌসুম চলছে। কিন্তু শীতল আবহাওয়ায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। প্রচন্ড ঠান্ডায় শ্রমিকরা মাঠে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। এজন্য খুব কম সংখ্যক শ্রমিক মঙ্গলবার মাঠে ছিলেন।

এদিকে পাবনা পৌর শহরের হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, গরম কাপড় কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সাধ্যমত গরম কাপড় কিনছে সবাই। ক্রেতাদের দাবি, শীতকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা বাড়তি টাকা নিচ্ছেন।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরও দু-একদিন থাকবে। যদি কুয়াশা না থাকে, আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলেও তাপমাত্রা বাড়তে পারে।