‘পরীক্ষার আগের রাতে বুশরার সঙ্গে ফারদিনের ৫-৬ ঘণ্টা কাটানোর কথা নয়’


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৮, ২০২২, ৬:০৭ অপরাহ্ণ / ৭৭
‘পরীক্ষার আগের রাতে বুশরার সঙ্গে ফারদিনের ৫-৬ ঘণ্টা কাটানোর কথা নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক:- ফারদিন হত্যাকাণ্ডে বান্ধবী বুশরার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইতোমধ্যে বুশরাকে গ্রেফতারের পর রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানার মামলায় বুশরাকে প্রধান আসামি করা হয়েছিল।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফারদিনের বান্ধবী বুশরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। অথচ মামলায় তাকে আসামি করা হলো।

বুশরার সংশ্লিষ্টতার সন্দেহ কেন জানতে চাইলে নূরউদ্দিন রানা বলেন, বুশরা যদি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকে, তা হলে তো অবশ্যই খুব খারাপ লাগবে। কিন্তু পরীক্ষার আগের রাতে বুশরার সঙ্গে ফারদিনের ৫-৬ ঘণ্টা কাটানোর কথা নয়। আর তাকে বাসার পাশে নামিয়ে দেওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ফারদিন। তাই আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না যে, বুশরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত না।

বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয়ে ছেলে হত্যার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাজী নূরউদ্দিন রানা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ফারদিনের বন্ধবী বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত তিনি ফারদিনের সঙ্গে ছিলেন। ওই সময় পর্যস্ত তাকে খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। তারা রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে খেয়েছেন। তবে দুজন আলাদাভাবে বিল পরিশোধ করেছেন।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফারদিন হত্যায় জড়িতদের প্রায় খুঁজে বের করা হয়েছে। নজরদারিতে আছে।

র‌্যাবের দাবি, চনপাড়ার রায়হান গ্যাং ও তার সহযোগীরা মিলে ফারদিনকে হত্যা করেছে। রায়হান ও সহযোগীদের আটক করা হয়েছে বলে খবরও বেরিয়েছে। র্যাব কি আপনাকে ডেকে এসব ব্যাপারে কিছু জানিয়েছে? আপনি কি মনে করেন, ফারদিন চনপাড়ায় হত্যার শিকার হয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাবে বাবা নূরউদ্দিন বলেন, ‘জিডি করার পর র‌্যাব থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তবে মামলার পর থেকে তারা কোনো আপডেট দেয়নি।’

৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় বুশরাকে গ্রেফতারের পর ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে ইতোমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার কাছ থেকে খুনের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে ডিবি জানায়।