পরকীয়া চলছে জামায়াত-আওয়ামী লীগের: টুকু


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ / ১৩৩
পরকীয়া চলছে জামায়াত-আওয়ামী লীগের: টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক :- সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের লাগবাগ, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি থানা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পরকীয়া চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের অনেকের মুখে একটা বুলি হয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াত, বিএনপি-জামায়াত। আমি বলছি, এখন সময় এসেছে, আওয়ামী লীগ-জামায়াত, আওয়ামী লীগ-জামায়াত বলার। জামায়াতও উর্দু, আওয়ামী লীগও উর্দু। দুটো একসঙ্গে মিলবে ভালো। কেননা ওনারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেন। কিন্তু বেআইনি ঘোষণা করেন না। তাহলে কি আমি বলবো, ওনাদের (জামায়াত-আওয়ামী লীগের) পরকীয়া চলছে?

‘আমাদের বলা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত, আর আপনারা আমাদের বলেন, যুদ্ধবিরোধী দল। আমিও স্বীকার করলাম। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল করলেন, বেআইনি ঘোষণা করলেন না। তার অর্থ আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে তলে তলে বন্ধুত্ব করে। সেজন্য বাতিল করে না। তাই আজ থেকে আওয়ামী-জামায়াত হবে, বিএনপি-জামায়াত আর হবে না’ যোগ করেন তিনি।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতা নুরে আলম, আব্দুর রহিম, সাওন প্রধানের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরীর ১৬টি স্পটে ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

টুকু বলেন, আরেকটি কথা, আওয়ামী লীগের লোকজন বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে ফেলেন। বলতে বলতে এখন মুখ দিয়ে থুথু বের হয়ে যায়। শুধু বলেন উন্নয়ন, উন্নয়ন, উন্নয়ন। আমি উন্নয়ন সম্পর্কে কিছু বলবো না, আমরাও উন্নয়ন চাই। আমরাও উন্নয়ন করেছি। এদেশে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে জিয়াউর রহমানের আমলে। তিনি বীজ বপন করে গেছেন। তার ওপর আজ বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। তারা উন্নয়ন উন্নয়ন বলেন।

‘কিন্তু এই দেশের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ভদ্রলোক, তিনি নাকি তাবলিগ করেন। অন্যায় দেখতে দেখতে অসহ্য হয়ে গেছেন। তিনি কয়দিন আগে অফিসারদের মিটিংয়ে বললেন, আমাদের যে বহিঃসম্পদ বিভাগ আছে তারা চুরি করার জন্য বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে আসে। ঋণ নিয়ে এসে চুক্তি করে প্ল্যানিং কমিশনে পাঠায়, তারা সেটা পাস করে দেয়। পরে সেই ঋণ আমাদের গলার ফাঁদ হয়ে যায়। এটা আমার কথা নয়, বাংলাদেশের কেবিনেট সচিবের কথা, যিনি এখনো চাকরিতে বহাল আছেন। আমরা গিবত করতে চাই না, তোমার কেবিনেট সেক্রেটারি বলে তোমার উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের মানুষের গলার ফাঁদ।’

দেশটাকে আজ কোথায় নিয়ে গেছেন? প্রশ্ন করে টুকু বলেন, আজ ওসির অনুমতি নিয়ে আমরা মিটিং করছি। কাল (রোববার) রাত থেকে এখানে না ওখানে, ওখানে না ওখানে। হায়রে আমার বাংলাদেশ। আমি মিটিং করবো, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আর আজ ওসির অনুমতি নিয়ে মিটিং করতে হবে, আর বলে দেশে নাকি গণতন্ত্র আছে। গণতন্ত্রই যদি থাকতো তাহলে আমাকে ওসির অনুমতি নিয়ে কেন মিটিং করতে হবে?