মাজহারুল ইসলাম পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ দেশের সর্ব উত্তরে হিমালয়ের কোল ঘেঁষা পঞ্চগড়ের সর্বত্রে চলছে শৈত্যপ্রবাহ ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া। নিম্ন আয়ের মানুষের জিবন যাত্রা বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। গতকাল ১৬ জানুয়ারী পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন ৯'১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বাড়ছে শীতের তীব্রতাও।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত সোমবার এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯' দশ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে মেঘ ও কুয়াশা কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও কমবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ মধ্যে ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
জেলায় সকাল ১২টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারদিক। রাত্রীবেলায় যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করছে। শীতের এ সময়টাতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে রিকশা-ভ্যান, অটোচালক, দিনমজুর খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। সকালে তারা কাজে যেতে পারছে না। কনকনে ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। দৈনন্দিন আয় রোজগার কমে গেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র অসহায় মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।
বোদা কলেজ পাড়ার ভ্যানচালক আশ্রাফ আলী (৭০) জানান, সকাল ১২ টা পর্যন্ত কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। সকালে বাড়ি থেকে বের হলেও রাস্তাঘাটে লোকজন না থাকায় আয় রোজগার নাই। বিপদে আছি।
বোদা সদর হাসপাতালের আর এমও ডাঃ জাহিদ হাসান জানান, বোদা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন সর্দি কাশি শ্বাস কষ্ট ও এজজমা রোগী বেড়েই চলছে।পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তৌফিক আহমেদ জানান, হাসপাতালের ১০০ শয্যার বেডে এখন রোগী ভর্তি রয়েছে ১৬৪ জন প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । ফলে অনেক রোগীকে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে। বহিঃবিভাগ ও আন্তঃবিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে ডায়রিয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট রোগীও রয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের এই সময়ে উষ্ণ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
চবর্তমানে তাপমাত্রা নিচে নেমে যাওয়ায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।এরূপ শৈত্যপ্রবাহ আরা টানা ৫/৬ দিন থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।শীত ও ঠান্ডা নিবারনের জন্য পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে অসংখ্য গরীব দুস্থ অসহায় মানুষেরা।এই মুহুর্তে শীতবস্ত্র ও ত্রান বিতরন প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহল মত প্রকাশ করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :- তাসলিম হাসান। অফিস :- ৩৩ তোপখানা রোড, মেহেরুবা প্লাজা,পল্টন,ঢাকা -1000। মোবাইল :- 019 12 420 228 । ইমেল :- ainerchokh03@gmail.com। ওয়েবসাইট :- www.ainerchokh.com। ওয়েবসাইট :-www.epaper.ainerchokh.com।
ই পেপার