দেখা মিলেছে বিলুপ্তপ্রায় একটি ঝাঁক শকুনের


প্রকাশের সময় : জুন ১২, ২০২২, ৬:০৩ অপরাহ্ণ / ৪২৩
দেখা মিলেছে বিলুপ্তপ্রায় একটি ঝাঁক শকুনের

মৌলভীবাজারে বিলুপ্তপ্রায় ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’ শকুনের দেখা মিলেছে। অনেক দিন পর মৃত গরুর মাংস খেতে শকুনের একটি ঝাঁককে গ্রামের মাঠে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে শকুনের এমন দৃশ্য পুরোনো হলেও অনেক বছর দলবেঁধে শকুনের ঘুরে বেড়ানো চোখে পড়ে না। সম্প্রতি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দীঘিরপাড় বাজার-সংলগ্ন আটঘর গ্রামের মাঠে পরপর তিন দিন শকুনের ঝাঁক দেখা গেছে। একটি ঝাঁকে সর্বোচ্চ ১৮টি শকুন ছিল।

প্রকৃতিতে প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি প্রাণী শকুন। দুই দশক আগেও ঝাঁকে ঝাঁকে শকুনের দেখা মিলত। কোথাও মৃত গবাদিপশু ফেলে দিলে শকুন এসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছে। অনেক বছর সেভাবে শকুনের দেখা মেলে না। মাঝে মধ্যে দু-একটা শকুন চোখে পড়লেও সেগুলো বাংলা শকুন। এ ছাড়া দেশে শীতকালে পরিযায়ী দু-একটা ক্লান্ত হিমালীয় শকুন বা হিমালয়ান গ্রিফন দেখা যায়।

আটঘর মাঠে শকুন আসার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার। কিন্তু মাঠে কোনো শকুন দেখতে না পেয়ে তাঁরা কিছুটা হতাশ হন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ফেরার সময় গ্রামের একটি বড় শিল কড়ই গাছে বিশ্রাম নেওয়া পাঁচটি শকুনের দেখা পান।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ জানায়, আটঘর গ্রামে পরপর দুটি গবাদিপশু মারা যায়। সেগুলো মাঠের পতিত জমিতে ফেলে রাখা হয়। সেই মাংস খেতে শকুনের দল ছুটে আসে।  সর্বোচ্চ ১৮টি শকুন দেখা যায়।  এদিন গ্রামের একটি বাড়ির উঁচু গাছে বসেছিল শকুনগুলো।