আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ–আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুই দলের সংলাপের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আজ রোববার ২০-দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বিএনপির সংলাপ হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। তাই নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথকে তারা যেভাবে রুদ্ধ করে দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে একটি গণ–আন্দোলন সৃষ্টি করা দরকার।’

বিএনপির মহাসচিব জানান, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায়ভাবে সাজা’ দিয়ে রাখা। তাঁকে সুচিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া। অবিলম্বে তাঁর মুক্তি ও তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদকে বিলুপ্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে দুই দলের নেতারা একমত হয়েছেন।

পরে ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এই সরকার একটা কর্তৃত্ববাদী সরকার। একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন হলে বিএনপি এখন ৭৬ শতাংশ আসন পাবে। এটা আশা করা যায় ও বাস্তব সত্য। কিন্তু বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার জোর করে, ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে। এই সরকারের দুঃশাসনের বিষয়ে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যা সাতটায় ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সংলাপ হয়। এতে মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।