তীরে বসে কাঁদে  মা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২০, ২০২২, ১০:০৭ অপরাহ্ণ / ১৫১
তীরে বসে কাঁদে  মা
মাজহারুল ইসলাম।

জনমদুখিনী মা আজো কাঁদে তীরে বসে সজলচোখে অপলোক দৃষ্টি চেয়ে আছে নদীপ্রান্তে।নাড়ীছেড়া ধন যদি পেয়ে যাই তার তার কঙ্কালসার দেহখানা।কিন্তু না! সে আর আসবেনা কোনদিন।
হয়ত ডুবন্ত লাশ বেওয়ারিশ নিথর দেহী ভেসে গেছে নিখোঁজ বিষন্নতার মৃত সমুদ্রে।
হয়ত শকুনের ঠোঁট ঠোকরাতে থাকে তার নিষ্পাপ আকাঙ্খার কোমল কলিজা।নয়ত মাটিির নীচে নির্জীব নিথর হয়ে আছে স্বার্থপরতার স্থায়ী হিমাগারে।
জয়ারাণী আর আসবেনা কোনদিন মহালয়ায়। আর কোন দিন দেখা হবেনা মমতাভরা মায়ের মুখ, ছুঁইবেনা আর বৃদ্ধ পিতার কোমল স্পর্শ।
জয়ারাণীর স্বপ্ন ছিল ভ্রামরী দেবীর দর্শনলাভে ফিরে এসে দূর্গাপূজোর প্রস্তুতি নেবে কিন্তু তা আর হলোনা। অবশেষে ডুবন্ত লাশ হয়ে বেওয়ারিশ নিথর দেহী ভেসে আজও নিখোঁজ বিষন্নতার মৃত সমুদ্রে। হয়ত শকুনের ঠোঁট ঠোকরাতে থাকে তার নিষ্পাপ আকাঙ্খার কোমল কলিজা। নয়ত মাটির চাপা পড়ে নির্জীব নিথর হয়ে স্বার্থপরতার স্থায়ী হিমাগারে।
আর কোনদিন দেখা হবেনা তার দুখিনী মায়ের মুখ, কোনদিন ছুঁইবেনা বৃদ্ধ পিতার কোমল ছায়া, পড়ে রবে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে হিম সমুদ্রে।সে আর আসবেনা কোনদিন। আজও সজলচোখে অপলোক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে নদীপ্রান্তে জীবিত নয় একটি মৃত জয়ারাণীর লাশের অপেক্ষায়।
আমি অপেক্ষায় একটি সাইক্লনের,যে সাইক্লোন উড়িয়ে দিবে সকল দুঃখ বুকফাটা হাহাকার।ভাসিয়ে নেবে সব কষ্টের জঞ্জাল।
অলৌকিত্বের নানা ভাবনা জজ্ঞে ঘুরব মহা শশ্বাণে আকাশে বাতাসে, আর লাশের মিছল নয় করতোয়ায় সেতু হোক। আমি চেয়ে দেখব আর কোনদদিন হাহাকার নয়, বৃদ্ধা মায়ের  উম্মাদ ক্রন্দন। আমি আর কোনদিন আসব ফিরে এই মহালয়ায়।
তবুও আমি ভেঙ্গে পড়িনা,অপেক্ষায় থাকি একটি সাইক্লোনের,যে সাইক্লোন উড়িয়ে দিবে সকল বিষন্নতার কুৎসিত ভাবনা।ভাসিয়ে নেবে সব কষ্টের জঞ্জাল।