গত কয়েক সিরিজ ধরেই টপ অর্ডার ব্যাটিং বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। তাই সেই প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতেই হয়তো ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ দল ব্যাটিং নিয়েছিল। প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ ৮২ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করেছে। তামিম ইকবাল ২৪০ বল খেলে ১৪০ রান করে অপরাজিত আছেন। ১৯টি চার ও ১টি ছক্কায় সেজেছে তামিমের ইনিংস।

তামিমের সঙ্গে ৬ রান করে অপরাজিত আছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটিটা অবশ্য দীর্ঘ হয়নি। তামিম ও মাহমুদুল হাসান জুটির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১১ বল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জেরেমিয়া লুইসের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে রানের খাতা না খুলেই উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দি হন মাহমুদুল।

এরপর অবশ্য প্রথম সেশনটা বাংলাদেশই দাপট দেখিয়েছে। তামিম ও তিনে নামা নাজমুল হাসান দুজনই খেলছেন অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে। দুই বাঁহাতির যুগলবন্দীতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল বড় রানের ভিত বুঝি পেয়েই গেল বাংলাদেশ।

কিন্তু প্রথম সেশনের দাপুটে ছবিটা মলিন হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। দলীয় ১৪২ রানের সময় প্রেস্টন ম্যাকসুইনের বলে ক্যাচ তোলেন নাজমুল। ৯৯ বল খেলে ৯টি চারের সৌজন্যে ৫৪ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি। বড় ধাক্কাটা লাগে পরের ওভারে।

ব্রায়ান চার্লসের বলে চারে নামা মুমিনুল হক ক্যাচ আউট হন কোনো রান না করেই। রান খরায় ভুগতে থাকা মুমিনুল বল খেলেছেন মাত্র ৬টি। লিটন দাস ১৯ বল খেলে ৪ রান করে ধস থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। লুইসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনিও আউট হন ক্যাচ তুলে।

দলের রান তখন ৩ উইকেটে ১৫২ – ১০ রানের ব্যবধানে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে রানের গতি কমে আসে বাংলাদেশের। এর আগে হাত খুলে খেলা তামিমও তখন খোলসে বন্দি। তার ওপর তামিম তখন নব্বইয়ের ঘরে। নতুন ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলীকে নিয়ে তাঁকে প্রথমত বিপদ সামলাতে হতো। এরপর নিজের সেঞ্চুরি।

দুটিই সামলেছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। ১৬২ বল খেলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ১৪টি চার ও ১টি চার ছিল তামিমের ইনিংসে। ইয়াসিরের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের রানটাও দুই শ ছাড়িয়েছেন। ইয়াসির রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। জানা গেছে, ৩৯ বল খেলে ১১ রান করা ইয়াসির পিঠের ব্যথা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ইনিংসও দীর্ঘ হয়নি।