তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন করা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ / ৭৯
তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন করা হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :- ঢাকা: ২০৪০ সালের আগে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শিগগিরই আইনটি পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবে মিল্লাতের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রোববারের প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আয়োজিত দক্ষিণ এশীয় স্পিকার সম্মেলনে তিনি যুগান্তকারী এ ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়ার সময় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’র আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন অন্যতম।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া আইনটি দ্রুত পাস করার পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। শিগগিরই এটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা সম্ভব হবে এবং মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর খসড়া আইনটি পাশের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিদ্যমান আইন সংশোধনীতে ই-সিগারেটসহ ইমার্জিং তামাক পণ্য নিষিদ্ধ করে প্রস্তাব যুক্ত করেছে। সুনির্দিষ্টভাবে, ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের সুপারিশের আলোকে এ খসড়া আইনে ‘ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্টস ইত্যাদি নিষিদ্ধ’ বিষয়ক একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ ধারার মাধ্যমে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার ইমার্জিং তামাক পণ্য আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।