ঢাকা জেলা বিএনপির কাউন্সিল কাল


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩০, ২০২২, ৭:২১ অপরাহ্ণ / ৭৬
ঢাকা জেলা বিএনপির কাউন্সিল কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:- ঢাকা জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল আগামীকাল অনুষ্ঠিত (রোববার)।  নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাপোপা মাঠে আয়োজিত এই কাউন্সিলকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্ব দিতেই এই কাউন্সিল।তবে নেতৃত্ব নির্বাচনের দায়িত্ব জেলার এক হাজার ১০ জন কাউন্সিলর লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করায় কমিটি গঠনে কিছুটা বিলম্ব ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলার নেতারা জানান, কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য দীর্ঘদিন তারা চেষ্টা চালিয়ে আসলেও সুবিধাজনক স্থানে ‘প্রশাসনের অনুমতি না মেলায়’ স্বল্প পরিসরে তাদের এ আয়োজন।

এর আগে গত ১৫ মে কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে আরও একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও সম্ভব হয়নি। এবারো কাউন্সিলের জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়েছে। যেখানে নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুকে সভাপতি ও খন্দকার আবু আশফাককে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৯ সদস্যের ঢাকা জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। মেয়াদ শেষের এক বছর পর ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ এ কমিটিকে ২৬৬ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ করা হয়। পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলার ১০টি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি গঠন করেন দায়িত্বশীল নেতারা।

এদিকে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি পদ পেতে লবিং করছেন ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন ও খন্দকার আবু আশফাক এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তমিজ উদ্দিন, খোরশেদ আলম, নাজিম উদ্দিন (ভিপি নাজিম), ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি ও ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। এর বাইরে নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।

খন্দকার আবু আশফাক বলেন, তিনি নিজে কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। তবে দলের হাইকমান্ড তাকে যেখানে দায়িত্ব দেবেন তিনি তা পালন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আগামী আন্দোলনকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীও বলেন, তিনি নিজে কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। আন্দোলন-সংগ্রামে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কারাগারে যেতে হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু এসব দমন-পীড়নে তাকে দমাতে পারেনি ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার। আগামীতেও তিনি দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন। এজন্য দলের হাইকমান্ড তাকে যেখানে দায়িত্ব দেবেন সেখানে তিনি  কাজ করবেন।

এছাড়াও আগামী মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।