ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ টাইব্রেকারে এসে হেরো গেলো ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার জালে দুটি বল প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হলো ব্রাজিলিয়ানরা। টানা দুটি ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে নাম লিখলো ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলের হয়ে টাইব্রেকারে শট মিস করেন রদ্রিগো এবং মার্কুইনহোস।
যে ক্রোয়েশিয়া এর আগে কখনোই ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি, এবার তারা এসে বিশ্বকাপের নকআউটে হারিয়ে দিলো সেলেসাওদের। নিঃসন্দেহে ক্রোয়াটদের এই জয়ের সবচেয়ে সেরা নায়ক গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
পুরো ১২০ মিনিটে অসংখ্যবার ব্রাজিলকে গোলবঞ্চিত রেখেছেন তিনি। টাইব্রেকারে এসেও শুরুতে রদ্রিগোর শট ঠেকিয়ে দিয়ে ব্রাজিলের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন তিনি।
ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে প্রথমে শট করতে আসেন নিকোলা ভ্লাসিক। তার শট ঠেকাতে পারেননি ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন। কিন্তু ব্রাজিলের প্রথম শটটি নিতে এসে ব্যর্থ হলেন রদ্রিগো। গোলরক্ষক লিভাকোভিচ ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন।
এরপর লোভরো মাজের, ক্যাসেমিরো, লুকা মদ্রিচ, পেদ্রো, মিসলাভ ওরসিক গোল করেন দু’দলের হয়ে। ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ শটটি নিতে এসে মার্কুইনহোস বাম পাশের বারে লাগিয়ে গোল বঞ্চিত হলেন। সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের আনন্দে, উল্লাসে মেতে ওঠেন ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলাররা।
এ নিয়ে দুই বিশ্বকাপের নকআউটে টানা ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে টাইব্রেকারে জিতলো ক্রোয়েশিয়া। এখনও পর্যন্ত ক্রোয়াটরা নকআউটে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ নিয়ে যাওয়া এবং টাইব্রেকারে যাওয়া পর তাদের সাফল্য প্রায় শতভাগ। তাদেরকে কেউই হারাতে পারেনি। এবারও দ্বিতীয় রাউন্ডে জাপানকে পুরো ১২০ মিনিট ঠেকিয়ে রাখার পর টাইব্রেকারে গিয়ে জিতলো ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের প্রথম ৯০ মিনিট গোলশূন্য। খেলা গড়ালো অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। খেলার ১০৫তম মিনিটে প্রায় একক প্রচেষ্টায় অসাধারণ একটি গোল করলেন নেইমার। কিন্তু তার এই গোলটি ধরে রাখতে দিলেন না পেটকোভিচ। ১১৬তম মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। এরপর তো টাইব্রেকার। যেখানে লিখা হলো ব্রাজিলের হতাশার গল্প এবং ক্রোয়াটদের বিজয়গাথা।
সম্পাদক ও প্রকাশক :- তাসলিম হাসান। অফিস :- ৩৩ তোপখানা রোড, মেহেরুবা প্লাজা,পল্টন,ঢাকা -1000। মোবাইল :- 019 12 420 228 । ইমেল :- ainerchokh03@gmail.com। ওয়েবসাইট :- www.ainerchokh.com। ওয়েবসাইট :-www.epaper.ainerchokh.com।
ই পেপার