জয়পুরহাটে কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে চলছে বোরো ধান কাটা মাড়াই


প্রকাশের সময় : মে ৩১, ২০২২, ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ / ৪৩১
জয়পুরহাটে কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে চলছে বোরো ধান কাটা মাড়াই

শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে জেলার কৃষকদের মাঝে। কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার যন্ত্রের সাহায্যে কম সময়ে ধান কাটা মাড়াই করতে পেরে খুশি জেলার  চাষীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, সারা মাঠ জুড়ে যখন বোরো ধান সোনালী বর্ণ ধারণ করে, তখন শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে যায়। একবারে বেশি শ্রমিক পাওয়াও সমস্যা। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ ভাগ ভূর্তকী মূল্যে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন সরবরাহ করা হয়।
জেলায় বর্তমানে ২৬টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে বোরো ধান কাটা মাড়াই চলছে। প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে বর্তমানে লেবার খরচ ৬/৭ হাজার টাকা। তবুও সময় মতো লেবার পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে খরচ পড়ছে বিঘা প্রতি মাত্র ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বাড়তি খরচ ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যে ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা।
কয়তাহার গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা, মাড়াই করে বস্তায় ভর্তি ধান পাওয়া যায়।  এতে খুশি বলে জানান, ভুতগাড়ি এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন। তিনি এবার দুই বিঘা জমির ধান কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে কেটে ধান ঘরে তুলেছেন বলে জানান।
এবার ভরা মৌসুমে হঠাৎ করেই ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে অনেক জমির বোরো ধান পানিতে ডুবে যায়। ফলে ক্ষতির মধ্যে পড়েন কৃষকরা। জেলায় চাহিদার তুলনায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সংখ্যা কম। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, বিভিন্ন কৃষি মাঠ দিবসে কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার উপস্থাপন করা হলে স্থানীয় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আর এসব কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষিখাতেও এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কৃষকের কমেছে শ্রম ও খরচ পাশাপাশি কয়েকগুণ বেড়েছে উৎপাদন। সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ও খামার যান্ত্রিকরণ প্রকল্পের আওতায় সরকারের ভূর্তকী মূল্যে জেলায় ২৬টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার ও রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিনে ৮/১০ একর জমির ধান কাটতে পারে। প্রথম দিকে এসব কৃষিযন্ত্রের ব্যবহারে কৃষকদের মাঝে কিছুটা অনীহা থাকলেও বর্তমানে এর চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম।