জুরাইনে ট্রাফিক ও পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৩


প্রকাশের সময় : জুন ৭, ২০২২, ৪:১৪ অপরাহ্ণ / ৪২২
জুরাইনে ট্রাফিক ও পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৩

ঢাকার জুরাইনে মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতিকে আটকানোর পর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এতে এক সার্জেন্টসহ পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন সার্জেন্ট আলী হোসেন, ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক উৎপল চন্দ্র। উত্তেজিত জনতা কাচ দিয়ে আলী হোসেনের হাত কেটে দেন। তাঁর হাতে ২১টি সেলাই পড়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জুরাইনের বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আইনের চোখকে জানান, সকালে এক ব্যক্তি স্ত্রীসহ মোটরসাইকেলে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর মাথায় হেলমেট ছিল না। এ সময় ট্রাফিকের একজন সার্জেন্ট মোটরসাইকেলটি থামান। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট নারীর গায়ে হাত তোলেন ও ওই দম্পতিকে পুলিশ বক্সের দিকে নিয়ে যান। তখনই এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা পুলিশ বক্স লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

জুরাইনের বাসিন্দার বরাত দিয়ে আইনের চোখকে জানান, পুলিশের চাঁদাবাজি নিয়ে স্থানীয় লোকজন বিরক্ত। মূলত তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আজ।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম আইনের চোখকে বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশকে ‘বডিওর্ন’ ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষের একাধিক ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন। ভিডিওতে বাইকে থাকা ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘প্রতিদিন মাস্তানি করেন, আজ আমি দেখাচ্ছি।’ এরপর তিনি উল্টো পুলিশ সার্জেন্টকে কাগজপত্র বের করতে বলেন। এ সময় চড়া গলায় সার্জেন্ট বলেন, তিনি পুলিশের পোশাক পরে আছেন, তাঁর হাতে ওয়াকিটকি রয়েছে। তাঁর অন্য কোনো পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই। কথা-কাটাকাটির ফাঁকে হঠাৎ করে সঙ্গে থাকা নারী বলে ওঠেন, ‘আমার গায়ে হাত দিলেন কেন?’ এর পরপরই লোকজন জড়ো হতে থাকেন।