জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশে ৮২ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের বিষয়টি শুভঙ্করের ফাঁকি


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২২, ৫:৫০ অপরাহ্ণ / ৭৭
জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী  উন্নয়নশীল দেশে ৮২ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের বিষয়টি শুভঙ্করের ফাঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:-  বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত বিশ্ব ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। তবে এটা আসলে শুভঙ্করের ফাঁকি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে সোমবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে আজ সকালে মিশর থেকে দেশে এসেছি। জলবায়ু সম্মেলন ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ। প্রায় ১০০ জন সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নিচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ড জো বাইডেন অংশ নিয়েছেন। এটা একটা আশার দিক। তবে জলবায়ুতে অর্থায়নের বিষয়টি বরাবরের মতোই ঝুলে আছে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে শুধু অজুহাত খুঁজছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী টালমাটাল অবস্থা। এ পরিপ্রেক্ষিতে অর্থায়নের ব্যাপারে যে তাদের সীমাবদ্ধতা সেটি তারা নানাভাবে বলার চেষ্টা করেছে। উন্নত দেশগুলো বলেছে গতবছর ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এটির মধ্যে বিরাট শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। ৮২ বিরিয়ন ডলার কোথায় কীভাবে দিলো। কারণ বিশ্ব জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে স্পষ্ট প্যারিস এগ্রিমেন্টে লেখা আছে এডিশন টু প্রেজেন্ট ওরিএ। তবে এ অর্থে পর্যাপ্ত নয় আরও অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা প্রেজেন্ট ওরিএ এর যে অর্থ আছে সেগুলোকে দেখিয়ে একটি হিসাব দাঁড় করিয়েছে যে ৮২ বিলিয়ন ডলার গতবছর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দিয়েছে। যেটার সাথে আমরা একমত নই। এই বিষয়গুলো সম্মেলনে আলোচিত হচ্ছে এবং এখন যেহেতু সম্মেলন চলছে আসলে সম্মেলনের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত, ঐকমত্য, সমঝোতা বলুন আসে। বিশ্বকে উষ্ণায়নের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রোডম্যাপ বলুন সেগুলো শেষের দিকেই হয়।

তিনি বলেন, আমি আগে চলে এসেছি কারণ দেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আছে। সেখানে আমাদের পরিবেশমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, সম্মেলন এখনও চলছে। তবে এবারের সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এতে প্রমাণিত হয় বিশ্বসম্প্রদায় বিশ্বকে উষ্ণায়নের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গুরুত্ব দিচ্ছে।