জরিপ প্রতিবেদন সড়কে প্রতিদিন গড়ে ১৭ মৃত্যু


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২১, ২০২২, ৪:৩৯ অপরাহ্ণ / ৯২
জরিপ প্রতিবেদন সড়কে প্রতিদিন গড়ে ১৭ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গত ১০ বছরে সড়কে প্রতিদিন গড়ে মারা গেছেন ১৪ জন।

সড়ক দুর্ঘটনার এক বার্ষিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত এক বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে পাঁচ হাজার ৩৭১টি। এতে আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮ জন, শারীরিকভাবে অক্ষম হয়েছেন ১২ হাজার ৫০০ জন এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন।

A

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ, সেবক ও ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টার আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপে’ সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন গবেষক কাজী আবুল আল আতাহিয়া।

তিনি বলেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে আমরা যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি। যার প্রমাণ করোনা মহামারি মোকাবিলা। কিন্তু আমরা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কাজ করছি না। এ বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। এজন্য চালকদের নিরাপদ গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং তাদের সুষ্ঠু-সুন্দর জীবনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষক হিসেবে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ, নারীরা সমাজের অর্ধেক। এজন্য সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।

সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. শামছুল হক বলেন, দুর্ঘটনাগুলো আমাদের হাতেই তৈরি। তাই এগুলোকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। এটা ক্র্যাশ। চালক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ না হলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে। চালকদের দক্ষ বানাতে হবে। শুধু দক্ষই নয়, চালকদের নিরাপদও বানাতে হবে। যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা সামাল দিতে পারেন। দেশে নিরাপদ চালক তৈরি করা খুব জরুরি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দায়িত্ব অনেক উল্লেখ করে তিনি বলেন, চালককে আগে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এরপর তাকে চালকের লাইসেন্স দিতে হবে। গাড়ির ফিটনেস প্রক্রিয়া ও চালককে লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বিআরটিএকে আরও সচেতন হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে খান মোহাম্মদ বাবুল বলেন, ডোপ টেস্টের নামে চালকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিছু মাদকসেবী চালকের জন্য কেন সব চালককে এ হয়রানি ভোগ করতে হবে। রাস্তায় এলইডি লাইটের কারণে চালকরা গাড়ি চালাতে পারেন না। সরকারকে বলবো- এলইডি লাইট আমদানি বন্ধ করুন, তাহলে সড়কে দুর্ঘটনা কমবে।

সংলাপে সেবকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান মোহাম্মদ বাবুলের সভাপতিত্ব ও পার্থ সারথি দাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক নুরুন্নবী শিমুল, রোড সেফটি এলায়েন্সের প্রতিনিধি আবদুল ওয়াহেদ, মোটর ড্রাইভিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল বাশার, শাহীন হোসেন মোল্লা ও সোনিয়া শিব্রা প্রমুখ