জরাজীর্ণ টিনের ঘরে চলছে পাঠদান


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৫, ২০২২, ৫:২৬ অপরাহ্ণ / ৬৩
জরাজীর্ণ টিনের ঘরে চলছে পাঠদান

(কুমিল্লা) প্রতিনিধি :- কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাইকোঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা সংকট নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়টিতে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক ও ভবন। আর শিক্ষার্থীরা যেখানে ক্লাস করছে, সেটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর। আর সেই ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিন সোমবার দেখা যায়, উপজেলার রাজাপুর  ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র বিদ্যাপীঠ পাইকোঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০০৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই টিনের ঘর দিয়ে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম। এখনো ওই ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ঘরগুলো পরিত্যক্ত হওয়ায় চার কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন না থাকায় পূর্বের টিনের ঘরেই ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত রাজাপুর ইউনিয়নের পাইকোঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও সোমবার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল মাত্র ১৮ জন। ৫ম শ্রেণিতে উপস্থিত ছিল মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী, চতুর্থ শ্রেণির সাতজন। তৃতীয় শ্রেণিতে ছয়জন। এই স্কুলটিতে শিক্ষার মান খুবই দুর্বল। চারজন শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত পাওয়া গেছে দুজন শিক্ষককে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, শিক্ষকরা রীতিমতো পাঠদান করান না। স্কুলেও ঠিকমতো আসেন না। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক সংকটের কারণে পিছিয়ে পড়েছে পাঠদান।

অভিভাবক রিপন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘরের কারণে আমাদের ছেলেমেয়েদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে হচ্ছে। সরকার যদি নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাবে। শিক্ষকরা রীতিমতো স্কুলে আসেন না। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা মনোযোগী নন। ভালো করে পড়াশোনা করান না। এই স্কুল শিক্ষার মান খুবই খারাপ।

পাইকোঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম  বলেন, ভবন সংকটের কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ব্যাহত হচ্ছে এবং ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

আরেক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক আজ উপস্থিত নেই, আজ দুজন শিক্ষক আসেন নাই। তারা একটি মিটিংয়ে আছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রওশন আরা যুগান্তরকে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, পাইকোঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সংকট রয়েছে বলে জেনেছি। তবে সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার মান বিষয়ে দেখা হবে। আমি স্কুলটি পরিদর্শন করব।