জমে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার, হাসি নেই কৃষকের মুখে


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৫, ২০২৩, ২:৫৭ অপরাহ্ণ / ১১৪
জমে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার, হাসি নেই কৃষকের মুখে

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের মধুখালীর বিভিন্ন হাটে  পেঁয়াজ নিয়ে ভিড় করছেন চাষীরা। এবার পাইকারি ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।উপজেলার মধুখালী সদর সবচেয়ে বড় বাজার শুক্রবার ও সোমবার দুদিন হাট ছাড়াও প্রতিদিন পেঁয়াজের হাট পাওয়া যায়। এ হাটে উপজেলার বাগাট, কোরকদী, মেগচামী, বামুন্দী, জাহাপুর, বোয়ালিয়া, কামালদিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে চাষীরা পেঁয়াজ হাটে নিয়ে ভিড় করছেন।

মৌসুমে প্রতি হাটে মধুখালী থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন আড়ৎদারের ঘর থেকে প্রায় ৯৫ হাজার মণ পেঁয়াজ রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারীরা খরিদ করে নিয়ে যায়। প্রতি মণ লাল তীর পেঁয়াজ ৯০০ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ ১,১০০ টাকা পর্যন্ত পাইকাররা কিনছেন। যা খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা একাধিক কৃষক বলেন, যে দামে বিক্রি করছি তাতে আমাদের কৃষি কাজ করে জীবন চালানো কষ্টকর। যেখানে মণ প্রতি খরচ করেছি এক হাজার থেকে ১১শ টাকা তা পাচ্ছি না। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক কৃষক তাদের পেঁয়াজ নিয়ে বাড়ি ফেরত যেতেও দেখা গেছে।

কৃষক পেঁয়াজের দাম পায় না। গতবছর পেঁয়াজে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়। এ বছর আশা করে পেঁয়াজ চাষ করি এখন পর্যন্ত মুড়িকাটা পেঁয়াজে লোকসান আশা নেই তবে কৃষকের লাভ প্রয়োজন।
কৃষক জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে প্রায় ১৮৫০ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি শতাংশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় দুই মণ। বাজারে বর্তমান দামে লোকসান না হলেও লাভ চোখে পড়ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভীর রহমান জানান, চলতি ২০২২-২০২৩ মৌসুমে মধুখালীতে মোট মুড়িকাটা, দানা এবং হালিসহ সব মিলিয়ে তিন হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে মধুখালীতে মোট দুই হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের আবাদ করা হয়। এবছর প্রায় ৫‘শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ বেশি হয়।

তিনি জানান, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ৫২ হাজার ৫৮০ মেট্টিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে আশা করা হচ্ছে। তিনি আশা করেন এলসি না খুললে কৃষক পেঁয়াজে লাভবান হবে। না হলে এবারও কৃষক লোকসানে পড়বে।