ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: পলাশ,উপজেলায় কলাবাগান সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৫, ২০২২, ৬:৪৮ অপরাহ্ণ / ১১৬
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: পলাশ,উপজেলায় কলাবাগান সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মো নুরনবী সানি:নরসিংদী পলাশ প্রতিনিধি:- ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে নরসিংদী পলাশ,উপজেলায় বাড়িঘরসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। শুধুমাত্র সদর উপজেলায় ৩ কোটি টাকার ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সোমবার রাতে কলা, পেঁপে, ধানের জমিসহ বিভিন্ন শাকসবজির জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ো বাতাসে কলা বাগান, পেঁপে বাগান ভেঙ্গে পড়াসহ রোপা আমন ধানের জমি নুইয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে কলা চাষীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নরসিংদী উপজেলার শীলমান্দী,
চিনিশপুর, নুরালাপুর, মাধবদী, তুলসিপুর, কবিরাজপুর, কুঁড়েরপারসহ বিভিন্ন এলাকায় কলাবাগান বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহায়তা কামনা করছেন কলা চাষীরা। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ভেঙ্গে পড়ে গাছপালা। চিনিশপুর উপজেলার দক্ষিণ সাধারচর এলাকার আব্দুল মোমেন বলেন, ধারদেনা করে ১২ শত কলা গাছ রোপন
করেছিলাম। ঘূর্ণিঝড়ে পুরো বাগানের সব কলাগাছ ভেঙ্গে পড়েছে। সরকারী সহায়তা না পেলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে না। কবিরাজপুরের কলা চাষী মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন আমি ৪ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছি।

 

ঘূর্ণিঝড়ে প্রায়১৫০০ গাছ ভেঙে পড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।অপর চাষী মোঃ কবির হোসেন বলেন, ৫ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলাম। কিছু কলা গাছে ছড়ি বের হয়েছে, কিছু গাছে বের হচ্ছে এমন অবস্থায় ঝড়ে সব গাছ ভেঙ্গে গেছে। এতে আমার প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।কলা চাষী আঃ মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে আমার
বাগানের ৭৫ ভাগ কলাগাছ ভেঙ্গে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি। সরকার ক্ষতি কাটাতে সহায়তা না করলে আমরা বিপাকে পড়বো। নরসিংদী সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন বলেন, কলা চাষের জন্য পলাশ,উপজেলায় খ্যাতি দেশজুড়ে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে নরসিংদী সদর উপজেলায় কলা চাষীরা
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাবমতে সদর উপজেলায় ৩ কোটি টাকার মোট ৭০ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ হেক্টর কলা বাগান, শাকসবজির জমি ২০ হেক্টর, সরিষা ৫ হেক্টর ও রোপা আমন ২০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির
সঠিক তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।