গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকারি পাঁকা সড়ক দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ


প্রকাশের সময় : মে ২৮, ২০২২, ৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ / ৪১৮
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকারি পাঁকা সড়ক দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ

ইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকারি পাঁকা সড়ক দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ ও সড়কে নিয়মিত গরু বেঁধে লালন-পালন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। জনস্বার্থে রাস্তাটি অবমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসি।

জানা যায়, পৌরসভার মাষ্টারপাড়া (৪নং ওয়ার্ডে) মহল্লার খয়বর হোসেন মওলার পেট্রোল পাম্পের পশ্চিম পার্শ্বের সড়কে স্থানীয় প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম চলাচলের রাস্তায় বসতবাড়ি নির্মাণ ও সড়কে নিয়মিত গরু বেঁধে লালন-পালন করে আসছেন। এতে ওই মহল্লার পাঁচশতাধিক পরিবারের প্রায় ১৫’শ লোকের যাতায়াত চরম ব্যহত হচ্ছে।

রফিকুল ইসলাম ওই মহল্লার মৃত দেলাবার হোসেনের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রেকর্ডিয় ওই পাঁকা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী। কিছুদিন পূর্বে রফিকুল ইসলাম রাস্তার উত্তর পার্শ্বে বসতবাড়ির ঘর নির্মাণ করেন। ঘরের বারান্দা দেন পাঁকা সড়ক ঘেঁষে। সেই পাঁকা সড়কের আংশিক দখল করে গরুকে খড় ও পানি খাওয়ানোর উড়া ও চারী বসিয়েছেন। এতে গরু বাঁধা থাকে সারাদিন।

এতে করে যাতায়াতে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকার জনমনে ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে যে কোনো মূর্হুতে অপ্রতিকর ঘটনার সম্ভবনাও দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

চলাচলে ব্যহত এক পরিবার প্রধান মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সরকারি সড়ক দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে পাঁকা সড়কে গরুর আরঘড়া বানিয়েছে। এখানে গরু বেঁধে রাখে সারাদিন। এতে গরুর মল-মূত্রে সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে যায়। সে কারণে ছোট-বড় অনেকেই পিচলে পড়েন। সেই সাথে নামাজ আদায় করতে যাওয়া লোকজনদেরও পরতে হয় চরম বেকায়দায়।’

সাটাঁর মিস্ত্রি আঃ সামাদ মিয়া বলেন, আমি বিভিন্ন দোকানের সাঁটার বানাই। সে কারণে পি-ক্যাপ ভানে মালামাল আনা-নেয়া করতে হয়। রাস্তায় গরু বাঁধা থাকায় গাড়ি পার হয় না। এমনকি পি-ক্যাপ ভ্যান আসলেই তাদের সাথে বাকবিতন্ডা করতে হয় ড্রাইভারকে।

এলাকাবাসী বলেন, এ রাস্তাটি অনেক দিনের পুরনো ও সরকারি। পাঁকাও হয়েছে অনেক আগে। যাতায়াত করেন মাষ্টারপাড়া, হুঁড়াভায়া খাঁ ও সরকারটারী মহল্লার লোকজন। তিন গ্রাম মিলে পরিবার আছে প্রায় পাঁচশো। আর লোকজন হবে প্রায় পনেরশো। প্রতিনিয়ত লোকজন ছাড়াও রিক্সা, ভ্যান ও পি-ক্যাপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করে এ পথে। আর সেই পাঁকা সড়ক ঘেঁষে ঘরের বারান্দা আবার পাঁকা সড়কের আংশিক দখল করে গরু পালন। হতবাক আমরা। প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই কারো। সে কারণে বিষয়টি স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমান কাউন্সিলরসহ একাধীক ব্যক্তিকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু ফলাফল ছিলো বরাবরই শূন্য।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কাজটা ঠিক করিনি। রাস্তা থেকে দ্রুত গরু সরাবো।’

কাউন্সিলর মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘ঐ সড়ক দিয়ে আমার যাতায়াত। প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে। আমি একা কিছুই করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে রফিকুল অন্যায়ভাবে সড়ক দখল করে বাড়ি নির্মাণ ও গরু পালন করছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।’

রিপোর্টার মহসিন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা