খুলনার কালভেরী এ্যাপেষ্টলিক চার্চের বিশপ ডঃ জন হীরা অপকর্ম চাপা দেওয়ার কৌশল ভিন্ন রকম


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০২২, ৬:০৬ অপরাহ্ণ / ১৬৭
খুলনার কালভেরী এ্যাপেষ্টলিক চার্চের  বিশপ ডঃ জন হীরা অপকর্ম চাপা দেওয়ার কৌশল ভিন্ন রকম
ক্রাইম রিপোর্টারঃ খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন ফুলবাড়ীগেট সংলগ্ন মহেশ্বপাশা এলাকার উত্তর বণিকপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী কালভেরী এ্যাপেষ্টলিক চার্চ এর বিশপ ডঃ জন হীরার অপকর্মের কৌশল অন্যদের থেকে একটু ভিন্ন। তিনি সবসময়ই চার্চ কে তার অপকর্মের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেন। বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর কোন দেশের গনমাধ্যম কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কে ছোট করে দেখে না বা বিতর্কিত করে না। কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিংসা বিদ্বেষ বা ধ্বংস শিক্ষা দেয় না। আমরা কখনই ঐতিহ্যবাহী কালভেরী এ্যাপেষ্টলিক চার্চ এর বিপক্ষে নই। আমরা বিশপ ডঃ জন হীরা সম্পর্কে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করছি। কালভেরী এ্যাপোষ্টলিক চার্চের পক্ষে পাষ্টর বিধান বৈরাগী বলেছেন, “ বিশপ জন হীরা ও ১৯৭৮ খ্রীঃ হইতে সেইভাবেই বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হয়ে ২ জন আমেরিকান মিশনারী সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ ২৩ বৎসর যাবৎ একই সাথে কাজ করে আসছেন, এমন কি তাহারা একই ছাদের নিচে একই টেবিলে খেয়ে কাজ করে আসছেন। নিয়মনীতি না মানলে কোন ব্যক্তিই কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারেন না।বলা হয়েছে আত্তপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয় নি। অনেক ষ্টাফ আছেন যারা নিজেরা চুরি ,অপকর্ম, প্রতিষ্ঠানের মালামাল আত্তসাৎ ও বিবাদ সৃষ্টি করায় বাধ্য হয়ে দেশী বিদেশী কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে তাহাদিগকে অব্যহতি দিতে বাধ্য হন।
আরও উল্লেখ্য থাকে যে, বিশপ জন হীরা ও দেশী বিদেশী মিশনারীগণ যেহেতু সেবামূলক কাজ করেন সেহেতু তাদের কে বারবার ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখেছেন ও সংশোধনের সুযোগ দান করেছেন । কিন্তু‘ কথাটি সত্যের বিপরীত ঐতিহ্যবাহী কালভেরী এ্যাপেষ্টলিক চার্চের পক্ষে বিশপ ডঃ জন হীরা খুলনা মহানগর দ্রুত বিচার
আদালতে তার ষ্টাফদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ কে দেয়। প্রথমে থানা , এরপর পি,বি,আই সর্বশেষে সি,আই,ডি কে দেওয়া হয়।
প্রত্যেক টি তদন্তে বিপশের চোখে কথিত আসমীদের পক্ষে তদন্ত রিপোর্ট সি,আই,ডি দেয় অর্থাৎ বিশপের বিপক্ষে। আমাদের প্রশ্ন কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনলে সেটি সরকারী ভাবে প্রমানিত না হলে তার কোন গ্রহনযোগ্য তা খাকে কি? কালভেরী এ্যাপোষ্টলিক চার্চ নড়াইল শাখার পুরোহিত পাষ্টর বিধান বৈরাগী ¯’ানীয় খ্রিষ্টানদের সাথে বিবাদে জড়িয়েছেন একটি সূত্র নিশ্চি করেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, বিশপ জন হীরার বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার জলিলপাড় ইউনিয়নের পলি গ্রাম। তার বাবার নাম ফটিক চন্দ্র হীরা । জন হীরা আট ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট। তার বাবা ছোট ব্যবসায়ী হলেও এলাকায় সুনাম ছিল। জন হিরা তার বাবার সম্পূর্ন উল্টো। এলাকার সূত্রে জানা যায়,তার বড় ভাই এস এস সি পাশ করার পর খুলনায় নিয়ে আসেন কিন্তু পরে অন্য কোন পাশ করেছেন কি না? তা পরিবরে কেউ বলতে পারে না ।
বিশপ জন হীরা ১৯৭৮ সালের আগে কি ছিলেন ?
তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে ভাগে সর্ব সাকুল্যে পনের (১৫) শতাংশ জমি পেয়েছিলেন।
একদা নিবিত্ত জন হীরা বর্তমানে তারন কলিগ্রামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি। ১৯৭৮ সালে ভাড়া করা বাসায় কালভেরী এ্যাপেষ্টলিক চার্চ পরিচালনা শুরু হয় । ডঃ জন হীরাও দুই জন আমেরিকার নাগরিক লেনিং এবং জ্যাকোলিন লেনিং এর সহযোগিতায় চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। কথা টি সত্য। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় জন হীরা, উ”চ মাধ্যমিক পার হতে পারেন নি তাই তিনি স্কুল কে রেখেছেন প্রাথমিকের গন্ডি তে। বিদেশ থেকে যে পরিমান ফান্ড এসেছে ,যা দিয়ে খুলনায় করতে পারতেন আর একটি সেন্ট জোসেফ, যশহরে হতে পারত আর একটি দাউদ পাবলিক, নড়াইলে হতে পারত একটি রেসিডেন্টশিয়াল মডেল , পলিগ্রামে হতে পারত একটি হরমাইনার স্কুল। দূরর্দষ্টি সম্পন্ন মানুষ হলে হয়ত ইতিহাসে নাম লিখা থাকত। চার্চের অর্থে বিশপ জন হীরা, বলীয়ান হতে পারতেন না । বর্তমানে বিশপ জন হীরার আছে মাছের ঘের,শিল্প শহরসহ নানা কিছু।
পৃথিবীর কোন দেশে এই রকম ব্যবসায়ী বিশপ আছে কি না আমাদের জানা নাই।
                                                                                                                                                                                ( আগামীতে আসছি আরো তথ্য নিয়ে )