ক্রাইম রিপোর্টার ঃ খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন ফুলবাড়ী গেট সংলগ্ন মহেশ্পারশা এলাকার উত্তর বণিকপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী কালভেরী এ্যাপেষ্টলিক চার্চ নিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হওয়ায় বিশপ ডঃ জন হীরা গংদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে।
আমরা ১২-০৯-২০২২ ইং তারিখে নিউজে উল্লেখ করি ডঃ জন হীরা “ তিনি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেন নিজের সম্পত্তির মত করে। তিনি সত্য টি অস্বীকার করেন নি।
তার অধীনে কর্মরত ষ্টাফদের ব্যবহার করেন দাসের মত করে। বিশপ জন হিরা তার মনের মত না হলে তাকে চাকুরী
থেকে তাড়ি য়েদেন।” কাল ভেরী এ্যাপোষ্টলিক চার্চ পক্ষে পাষ্টার বিধান বৈরাগী প্রতিবাদে উল্লেখ করেছেন“ নিয়ম নীতি না মানলে বা তার উপর অর্পিত সঠিক কাজ না করলে যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তার কর্মচারীদের অব্যহতি দেন,এখানে ও অনুরুপ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আমাদের পরিবেশিত সংবাদকেই স্বীকার করে নিয়েছেন। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোন কর্মচারী কে অব্যহতি দি তাহোলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ আনতে হয় এবং তাকে আতপেক্ষ সমর্থনে তিন টি সুযোগ দিতে হয় (১৯৮৫ সালের (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালার ৩(বি) ও৩(ডি) অনুযায়ী)।
১৯৭৮ সালে ভাড়া করা বাসায় কালভেরী এ্যাপেষ্টলিক চার্চ পরিচালনা শুরু হয় । ডঃ জন হীরা দুই জন আমেরিকার নাগরিক লেনিং এবং জ্যাকোলিন লেনিং এর সহযোগিতায় চার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদে আরও উল্লেখ করেছেন “খুলনা কালভেরী এ্যাপোষ্টলিক চার্চ স্কুলে সকল ধর্মের অসহায় দুঃস্থ ছেলে-মেয়েরা বিনামুল্যে অধ্যয়নের সুযোগ পান।
পড়াশুনা শেষে অনেক ছাত্র-ছাত্রী দেশ-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত । দেশ-বিদেশে কর্মরত প্রাক্তন ছাত্র - ছাত্রীরা বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরন করছেন।” কথা টি সত্য কিন্তু তিনি তার নিজের অর্থ খরচ করেন নি এইসব ছেলে-মেয়েদের ভুখা নাঙ্গা দেখিয়ে বিদেশ থেকে অর্থ এনেছেন।নাম না প্রকাশে একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, জন হীরা যখন খুলনায় আসেন
তখন তিনি এতটাই দরিদ্র ছিলেন তার খাবার কিনে খাওয়ার অর্থ ছিল না।ডঃ জন হীরা তার
নামের আগে ডঃ ডিগ্রী দি য়ে থাকেন, আমরা অক্স ে ফার্ড বিশ^বিদ্যালয়, হাভার্ডবিশ^বিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট খুজেছি কোথাও ডঃ জন হীরা নামে কারো সন্ধান পাই নি।
এখানে উল্লেখ্য যে পৃথিবীর যে দেশ থেকেই পি এইচ ডি
ডিগ্রী যেই গ্রহন করুন না কেন তার রেকর্ড অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয় বা হাভার্ড বিশ^বিদ্যালয় থাকবে।জন হীরা তার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ কে ধোকা দিয়েছেন। তিনি সাধারন খ্রিষ্টান দেন দুস্থঃ এবং ছেড়া জামা কাপড় পরিয়ে ছবি তুলে বিদেশে পাঠিয়ে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক ফান্ড এনেছেন চার্চের নামে । নামে বেনামে বিভিন্ন জেলায় স্ত্রী ছেলে ছেলেবউ দের নামে জমি ক্রয় করেছেনে।
নাম না প্রকাশে অবসর প্রাপ্ত এক দুদক কর্মকর্তা বলেন ডঃ জন হীরা যে অপরাধ করেছেন তার বিরুদ্ধে “৪০৯/৪২০/১০৯ পেনাল কোড এবং দুর্ণীতি প্রতিরোধ আইনের (২) ধারা প্রয়োগ করে
অভিযোগ করা যায়।”
(আগামী পর্বে আসছে জন হীরার অর্থ প্রাপ্তির চ্যানেল নিয়ে)
সম্পাদক ও প্রকাশক :- তাসলিম হাসান। অফিস :- ৩৩ তোপখানা রোড, মেহেরুবা প্লাজা,পল্টন,ঢাকা -1000। মোবাইল :- 019 12 420 228 । ইমেল :- ainerchokh03@gmail.com। ওয়েবসাইট :- www.ainerchokh.com। ওয়েবসাইট :-www.epaper.ainerchokh.com।
ই পেপার