কুষ্ঠরোগ কি?


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩১, ২০২২, ৬:২৩ অপরাহ্ণ / ৮৫
কুষ্ঠরোগ কি?

মোঃ রায়হান শরীফ, স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর,

কুষ্ঠ একটি স্বল্প সংক্রামক ও নিরাময় যোগ্য রোগ। মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেখি নামক জীবাণু দ্বারা এ রোগ হয়। শতকরা ৯৯ ভাগেরও বেশী লোকের দেহে কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধ করার স্বাভাবিক ক্ষমতা রয়েছে। তবে যে কোন স্তরের লোক কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হতে পারে। পৃথিবীর শতকরা ৯০ ভাগের ও বেশী কুষ্ঠরোগী উন্নয়নশীল দেশে দেখা যায় ।
কুষ্ঠরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হলো সাধারণত: চামড়ার উপর হালকা ফ্যাকাসে অনুভূতিহীন দাগ। তাছাড়া হাত পায়ের অনুভূতিও কিছুটা লোপ পেতে পারে। এই অনুভূতিহীনতাই হলো যে কোন আঘাত পাওয়ার জন্য দায়ী, যা পরবর্তীতে অধিকাংশ চিকিৎসাবিহীন কুষ্ঠরোগের অঙ্গ বিকৃতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বেসরকারী কুষ্ঠ ক্লিনিকে বিনামূল্যে আধুনিক সমন্বিত চিকিৎসা পাওয়া যায়। রোগের শ্রেণীভেদে কুষ্ঠরোগের চিকিৎসা ৬ মাস থেকে ১২ মাসের হতে পারে।
এতসব কার্যকর এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কুষ্ঠরোগীরা এখনো কুসংস্কারের কারণে মাঝে মাঝে সামাজিকভাবে অবহেলিত হচ্ছে। সমাজ থেকে এই কুসংস্কার দূর করার জন্য দি লেপ্রসি মিশন জনগনের মাঝে স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রদান করে জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক উপকরণাদি সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে জনগন সচেতন হয়ে রোগের প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের অনেক রোগী আছে যারা রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিয়েছে বলে কোন প্রকারের অঙ্গ বিকৃতি ছাড়াই সুস্থতা লাভ করেছে এবং বর্তমানে তারা সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। কুষ্ঠ রোগ সম্বন্ধে তথ্য
কুষ্ঠ অন্যান্য রোগের মতই একটি রোগ। কুষ্ঠ একটি দীর্ঘ স্থায়ী কিন্তু স্বপ্ন সংক্রামক রোগ।
→ মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেখি নামক জীবাণু দ্বারা কুষ্ঠরোগ হয়। আধুনিক চিকিৎসায় কুষ্ঠরোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়।
এই রোগ প্রধানত। মানুষের চামড়া, প্রান্তিক স্নায় (নার্স), নাকের ঝিল্পিকে আক্রান্ত করে ফলে, চামড়ায় অনুভূতিহীন দাগ ও মাংসপেশীর দুর্বলতা দেখা দেয়।
যে কোন বয়সের পুরুষ, মহিলা, ছেলে, মেয়ে, এবং ধনী গরীব যে কোন লোকেরই কুষ্ঠরোগ হতে পারে। সম্প্রতি প্রতি বছর বাংলাদেশে গড়ে ৩৫০০ নতুন কুষ্ঠরোগী সনাক্ত হয়ে আসছে।
কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ সমূহ
চামড়ায় হালকা ফ্যাকাসে বা লালচে দাগ, যা চুলকায় না থামে না, অনুভূতি
থাকে না এবং কখনো কখনো দাগ থেকে লোম ও ঝড়ে যায়। চামড়ার নীচে গুটি গুটি দেখা যায়। মুখমণ্ডলের চামড়া পুরু এবং কানের লতি মোটা হয়ে যায়।
প্রান্তিক স্নায়ু (লাভ) মোটা ও ব্যথাযুক্ত হয়। কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা
রোগের শ্রেণীভেদে ৬ মাস থেকে ১২ মাসের নিয়মিত চিকিৎসায় কুষ্ঠরোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়।
দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ও কুষ্ঠ বিষয়ে কাজ করে এমন এনজিও ক্লিনিকে বিনামূল্যে কুষ্ঠরোগের চিকিৎসা পাওয়া যায়। চিকিৎসা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা সমাজে একজন সাধারণ মানুষের মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।
কুষ্ঠ রোগের বিকলাঙ্গতা
B রোগের শুরুতে নিয়মিত চিকিৎসা না নিলে নানা ধরনের বিকলাঙ্গতা দেখা দিতে পারে।
রোগের শুরুতে চিকিৎসা নিলে অঙ্গ বিকৃতি রোধ করা যায়।