উৎসবের নগরী বুয়েন্স আইরেস


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ৫:০২ অপরাহ্ণ / ৯০
উৎসবের নগরী বুয়েন্স আইরেস

স্পোর্টস ডেস্ক:-  ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তৃতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছে মেসির আর্জেন্টিনা। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের মাধ্যমে ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন খেতাব পেল লাতিন আমেরিকার এই দেশটি।

এরপরই হাজার হাজার আর্জেন্টিনার মানুষ রাজধানী বুয়েনস আইরেসের রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের উল্লাস-উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধভাঙা। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কাতার থেকে বুয়েন্স আইরেসের দূরত্বটা ১৩ হাজার ৮০৯ কিলোমিটার। দূরত্বটা বাধা হয়নি আর্জেন্টাইনদের কাছে। লুসাইলে মেসিদের গগনবিদারী চিৎকার পৌঁছে গেছে বুয়েন্স আইরেসের আকাশে বাতাসে। আনন্দের ক্ষণ উপভোগে বুয়েন্স আইরেস এখন উৎসবের নগরী।

ম্যারাডোনার পর নিজ দেশের হয়ে শিরোপার তৃষ্ণা মেটানো আর্জেন্টাইন দলের বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছেন আর্জেন্টিনার ভক্ত ও সমর্থকরা। আকাশি নিলদের পতাকা, গায়ে জার্সি, মাথায় টুপিসহ আরও কত আয়োজন মেসিদের জন্য। জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে বুয়েন্স আইরেসের পথঘাট সব।

এক আর্জেন্টাইন বলেন, ‘আমি আমার আবেগ ধরে রাখতে পারছি না। মেসিদের এমন জয়ে আমি খুবই গর্বিত। একজন মেসি আমাদের দেশের এত বড় অর্জনের কান্ডারি। ৩৬ বছর পর এমন আনন্দ উদ্‌যাপনের মুহূর্ত পেয়ে আমরা খুবই খুশি। ’

আরেকজন বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে, তা আমি ম্যাচ শেষের আগে পর্যন্ত কল্পনাও করতে পারিনি। ’

কাতারের আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ানো উত্তেজনার সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে আর্জেন্টিনার প্রতিটি মানুষের মনে। ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি আর্জেন্টাইন ভক্তের মনে।

রয়টার্স বলছে, পতাকা, টুপি এবং দেশের আইকনিক নীল-সাদা জার্সি নিয়ে আর্জেন্টাইনরা ফাইনালে জয়ের কয়েক মিনিটের মধ্যে বুয়েনস আইরেসের কেন্দ্রস্থল এবং অন্যান্য আইকনিক স্পট দখল করে নেয়। একই সময়ে দেশজুড়ে আরও অনেক স্থানে আনন্দ, উল্লাস ও উদযাপন ছড়িয়ে পড়ে।

২০১৪ সালে জার্মানির বিপক্ষে টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরে যাওয়া লাতিন আমেরিকার এই দলটি ১৯৮৬ সাল থেকে গতকালের আগপর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তবে দলের উত্থান আর্জেন্টিনাকে ব্যাপক উৎসাহিত ও উল্লসিত করেছে, যদিও এই দেশটি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। যা দেশটির প্রায় ৪০ শতাংশ জনসংখ্যাকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তবে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে এতটুকু ভাটা পড়েনি অর্থনৈতিক সংকট।