উদ্ধার ও গবেষণা চালাবে বাংলাদেশি রোবট ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’


প্রকাশের সময় : মার্চ ৯, ২০২৩, ৬:৫২ অপরাহ্ণ / ১০০
উদ্ধার ও গবেষণা চালাবে বাংলাদেশি রোবট ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’

নিজস্ব প্রতিবেদক – ঢাকা: নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌপথে ঘটা দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নির্ভর করতে হয় ডুবুরিদের ওপর।

অনেক সময় দুর্গম হওয়ায় অথবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নদীর তলদেশে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ বেগ পেতে হয়।

মাঝেমধ্যে ডুবন্ত বস্তু শনাক্তও সম্ভব হয় না।
আর এ সমস্যা সমাধানে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার ও গবেষণায় কাজ করতে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে রোবট, যার নাম ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’।

রোবটটি তৈরি করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ। নির্মাতাদের দাবি নৌযান দুর্ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে নদীর গভীরে মানুষ ও লঞ্চ হারিয়ে যায়। সেসব গভীরে সাধারণ ডুবুরিদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয় না। বিষয়টি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষেত্রে ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে কোরাল রিসার্চে সহয়তা করবে এই অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার রোবট।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্রে ১৭তম বেসিস সফট এক্সপো- ২০২৩ এ প্রদর্শনীর জন্য আনা হয় রোবটটি। দক্ষিণ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় আয়োজন বেসিস সফট এক্সপো।

প্রদর্শনীতে ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’র ভাইস টিম লিডার মাহ্ফুজুল হক বলের, বাংলাদেশে প্রথম কোনো অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার রোবট এটি। এটি তৈরির পেছনের গল্প হচ্ছে, দেশে লঞ্চডুবিতে অনেক মানুষ মারা যায়। অনেক সময় এসব লঞ্চ হারিয়ে যায়। সবক্ষেত্রে সাধারণ ডুবুরিদের পক্ষে হারিয়ে যাওয়া লঞ্চ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় না। এমন সব বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে ডুবুরি হিসেবে এই রোবটটি বানানো হয়েছে। যেখানে মানুষ ডুবুরির অনেক সীমাবদ্ধতাকে এড়িয়ে উদ্ধার কাজ করবে রোবট ডুবুরি।

২০১৮ সাল থেকে ব্র্যাকইউ ডুবুরি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে মাহ্ফুজুল হক বলেন, এই প্রজেক্টে শুরুর দিকে চারজন কাজ করেছেন। সদস্যদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে পেশাজীবনে প্রবেশ করেছেন। ফলে প্রজেক্টে যুক্ত হয়েছেন নতুনরা। বর্তমানে আমাদের টিম মেম্বার সংখ্যা প্রায় ৪০।

এই রোবট বাণিজ্যিক পর্যায়ে যেতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

ব্র্যাকইউ ডুবুরির উদ্ভাবক দল জানায়, এই রোবটে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি (এআই) টেকনোলজি যুক্ত করা হয়েছে। রোবটটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে। এটা কোনো রিমোট কন্ট্রোলে চলবে না। এটা নিজেই পানির নিচে সমস্ত কিছু ডিটেক্ট করবে এবং তথ্য দেবে।