উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের চিত্র গোপন ছবিতে


প্রকাশের সময় : মে ৩০, ২০২২, ২:২১ পূর্বাহ্ণ / ৪৪৮
উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের চিত্র গোপন ছবিতে

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চীনা কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভে মুখোশ পরা এক উইঘুর মুসলমান

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চীনা কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভে মুখোশ পরা এক উইঘুর মুসলমান
ফাইল ছবি: রয়টার্স

জিনজিয়াংয়ের সরকারি তথ্যভান্ডার হ্যাক করে ফাঁস করা নথিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংসহ বেইজিংয়ের শীর্ষ নেতারা উইঘুরদের জোর করে ধরে আনার নির্দেশ দিচ্ছেন।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং প্রদেশের অনেক বন্দিশিবির ও কারাগারে অন্তত ১০ লাখ উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষজনকে আটকে রেখেছে। তবে এ প্রসঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বেইজিংয়ের যুক্তি হলো, তাঁদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এসব শিবিরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ‘চরমপন্থা’ মোকাবিলায় এর প্রয়োজন রয়েছে।

উইঘুরের মুসলমান–অধ্যুষিত জিনজিয়াং অঞ্চলের একটি বন্দিশিবির। তবে চীন সরকার এর নাম দিয়েছে ‘পুনঃশিক্ষাকেন্দ্র’

উইঘুরের মুসলমান–অধ্যুষিত জিনজিয়াং অঞ্চলের একটি বন্দিশিবির। তবে চীন সরকার এর নাম দিয়েছে ‘পুনঃশিক্ষাকেন্দ্র’
ফাইল ছবি: রয়টার্স

কিন্তু পুলিশের তোলা ছবি ও অভ্যন্তরীণ নথিপত্র যেগুলো অজ্ঞাতনামা সূত্র বিশেষজ্ঞ জেনজকে সরবরাহ করেছে, সেগুলোতে এমন প্রমাণই পাওয়া যায়, প্রশিক্ষণ নিতে বন্দিশিবিরের বাসিন্দারা এখানে বিন্দুমাত্র স্বেচ্ছায় আসেননি। জিনজিয়াংয়ের সরকারি তথ্যভান্ডার হ্যাক করে ফাঁস করা নথিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংসহ বেইজিংয়ের শীর্ষ নেতারা জোর করে তাঁদের ধরে আনার নির্দেশ দিচ্ছেন।

আদ্রিয়ান জেনজ আল–জাজিরাকে বলেন, ‘(উইঘুর নির্যাতন বিষয়ে) ওই অঞ্চল থেকে ফাঁস হওয়া নথি ও প্রমাণের মধ্যে এখন পর্যন্ত এগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাপক ও উল্লেখযোগ্য। আমরা ইতিপূর্বে যত প্রমাণ পেয়েছি, সেগুলোর চেয়ে এসব আরও বেশি উল্লেখ করার মতো। কেননা এসব ছবি ও নথিতে নির্যাতনের বহুমাত্রিক প্রমাণ রয়েছে।’

নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হলেও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জিনজিয়াংয়ের হাতে–গোনা কিছু কর্মকর্তাকে শুধু নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ জেনজ বলছেন, ফাঁস হওয়া নথিপত্রে চীনের প্রেসিডেন্ট ও দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিষ্কার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

উইঘুর জনগোষ্ঠীর কয়েক ব্যক্তি

উইঘুর জনগোষ্ঠীর কয়েক ব্যক্তি
ফাইল ছবি: রয়টার্স