আমদানির খবরেও কমেনি পেঁয়াজের দাম


প্রকাশের সময় : জুন ৫, ২০২৩, ৩:৪৮ অপরাহ্ণ / ৬৫
আমদানির খবরেও কমেনি পেঁয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :- ভারত থেকে আমদানির অনুমতির পরও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেনি। রাজধানীতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা দরে। মান ভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। অপরিবর্তিত সবজি ও মাছ মাংসের দাম।

সোমবার (৫ জুন) দুপুরে পল্লবীর মুসলিম বাজার ১১ নম্বর ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

রোববার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে সরকার। সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

মুসলিম বাজারের ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজ আমদানির কোনো খবর শুনিনি। আমদানি হলেও বাজারে আসতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে। এই সপ্তাহ শেষে হয়তো দাম কমবে। তবে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। ৫ কেজি নিলে পাঁচ টাকা কম রাখা যাবে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ ছোট, বড় ও মাঝারি আকার পৃথক করে ১০০, ১১০ ও ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ৫ কেজি কিনলে ৫-৮ টাকা মূল্য ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীর আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এর আগেও পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে কথা হয়েছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। মাত্র অনুমতি হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসতে প্রায় ১ সপ্তাহ লাগতে পারে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বলছে, ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। গত সপ্তাহে পণ্যটির দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আর গত মাসের এই সময়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ৪০ টাকার মতো বেড়েছে।

টিসিবির বলছে, গত বছরের এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। পেঁয়াজের মতোই বেহাল দশা আদার। প্রতি কেজি ভিয়েতনামী আদা বা বড় আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়, আর প্রতি কেজি গুটি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকায়। আদার দাম নিয়ন্ত্রণে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ও পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার। তবে তাতেও কমেনি আদার ঝাজ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারিতে আদার দাম এখনো চড়া। বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন ভালো হলেও বাজারে চালের দাম চড়া। গত সপ্তাহের চেয়ে মাঝারি ও মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি সরু বা চিকন চাল ৭৫ টাকায়, আটাশ চাল ৫৫ টাকা, মোটা চাল ৪৮ টাকা, নাজির চাল ৭৮ টাকা, বাসমতী চাল ৮৫ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১২০ টাকা, কাটারি ৭৫ টাকা, আমন ৬০
আউশ ৭০ টাকা ও জিরা শাইল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলম রাইস এজেন্সির বিক্রেতা মহসিন মিয়া জানান, চালের দাম এখন নিম্নমুখী থাকার কথা। তবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকটে চাল প্রক্রিয়াজাত করণে খরচ বেড়ে গেছে। এসব ছাড়া বেশিরভাগ নিত্যপণ্য উচ্চমূল্যে স্থির হয়ে আছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ টাকা, প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, অনেক সবজির এখন মৌসুম শেষ হয়ে আসছে, তাই সরবরাহ কম। নতুন সবজি উঠতে শুরু করলে দাম আবার কমে আসবে।