অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার নামে চলে বাণিজ্য


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ / ৯৫
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার নামে চলে বাণিজ্য
অভয়নগর(যশোর) প্রতিনিধি :
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার নামে দিদারছে  চলছে টেস্ট বাণিজ্য। প্রতিনিয়ত এটা যেন বেড়েই চলেছে। বাণিজ্যে সহযোগিতা করতে  প্রায়  প্রতিটি ডাক্তারের সাথে দেখা যায় নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। ডাক্তারের লেখা টেস্ট কোথা থেকে করাতে হবে সেটা নির্ধারণ করাই এদের কাজ। সেবা নিতে আসা কোন রোগী নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকে টেস্ট না করালে  তাদেরকে পুনরায় টেস্ট করাতে পাঠানো, কেউ দ্বিতীয়বার টেস্ট করাতে অস্বীকৃতি জানালে রোগী অথবা তাদের স্বজনের সাথে দুর্ব্যবহার করাটাকে এরা এখানকার নিয়মে রুপ দিয়েছে। বর্তমান অতি জরুরী না হলে  মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণী পেশার মানুষ ছাড়া কেউ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে না বললেই চলে। মোহাম্মদ আজিজুর মোড়ল পিতা আমির আলী মোড়ল গ্রাম চলিশিয়া, উজ্জ্বল গোয়াখোলা,আলী গোয়াখোলা, রানা বুইকারাসহ আরও অনেকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অভয়নগর সরকারী হাসপাতালে।এমনও অনেক হতদরিদ্র লোক আছে যারা দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পেরে বাড়ির পোষা হাস-মুরগি অথবা গরু- ছাগল বিক্রি করে কম খরচে চিকিৎসা নিতে আসে সরকারি হাসপাতালে। অথচ তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পরপরই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তাদের ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক  টেস্ট। হাসপাতালেই অধিকাংশ টেস্ট থাকলেও সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় রোগীরা। বাইরে থেকে টেস্ট করতে বলা হয় রোগীদের। এসবের পেছনেও একটা কারণও আছে, প্রতিটি টেস্ট থেকে  নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক্তার ৪০-৬০ % টাকা ছাড়াও বিভিন্ন সুযোগ – সুবিধা পেয়ে থাকেন ডাক্তাররা। এমন পরিস্থিতিতে অনেক রোগীর টেস্ট করিয়েই অর্থ  শেষ হওয়ায় সে ঔষধ পর্যন্ত কিনে খেতে পারে না। এমতো অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের সাথে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত দাদালদের হাসপাতালে  নিষিদ্ধ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে  বাণিজ্য মুক্ত করা জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।