বাজেটে সমালোচনার উত্তর দিলেন অর্থমন্ত্রী
প্রকাশের সময় : জুন ১১, ২০২২, ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ /
৫১৩

আসন্ন নতুন অর্থবছরের বাজেট যতটা ব্যবসাবান্ধব, ততটা জনবান্ধব নয় বলে যে অভিযোগ কেউ কেউ করছেন, তা মানতে রাজি নন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেছেন, “বাজেটটা আমি মনে করি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহায়ক বাজেট। এদেশের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন, যারা কষ্ট করে জীবন যাপন করেন তারাও উপকৃত হবেন। সবাইকে উপকৃত করার জন্যই আমি বাজেটটা প্রণয়ন করেছি।”
জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করার পরদিন শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে আসেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম ছাড়াও অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ জ্যেষ্ঠ কয়েকজন সচিব ছিলেন অর্থমন্ত্র্রীর সঙ্গে।
খুটিনাটি সমালোচনা ও প্রশ্নের পাশাপাশি প্রস্তাবিত বাজেটকে অর্থমন্ত্রী কিভাবে মূল্যয়ন করছেন এমন প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক।
মুস্তফা কামাল জবাবে বলেন, “আমি একজন অ্যাকাউটেন্ট। আমি নম্বরে ভুল করি না। গত তিন বছরে আমি যে বাজেট দিয়েছি, তাই করেছি। আমি গরিব ছিলাম। গরিব হওয়া কত কষ্টের এটা আমি হাড়ে হাড়ে জানি।
“এজন্য এদেশের মানুষ যারা গরিব, তাদের সবাইকে সামনে রেখে, মনে হয় যেন তাদের প্রত্যেকের কথা বিবেচনা করে বাজেটটা তৈরি করি। সুতারাং এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই।”
কোভিড মহামারীর পর ইউক্রেইন যুদ্ধের কঠিন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে উন্নয়নের হারানো গতিতে ফেরার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাবিত বাজেট বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের (৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) চেয়ে ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অঙ্ক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশের সমান।
গত বছরের তুলনায় বাজেটের আকার জিডিপির অনুপাতে কিছুটা কমলেও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি ও অভ্যন্তরীণ সরবরাহে বিশঙ্খলার মাঝেও মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে বেঁধে রাখার আশা করছেন তিনি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থমন্ত্রী তার বাজেট প্রস্তাবে ছয়টি সঙ্কট চিহ্নিত করলেও সার সমাধানের পথ দেখাতে পারেননি। মূল্যস্ফীতি নিয়ে তার লক্ষ্য ‘বাস্তবসম্মত নয়’। রাজস্ব আয় ১১ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য ধরলেও তা কীভাবে অর্জন সম্ভব তা স্পষ্ট নয়। এই কঠিন সময়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সম্প্রসারণ প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তেমন কিছু এ বাজেটে নেই। অথচ ব্যবসায়ীদের কর ছাড় দেওয়া হয়েছে নানাভাবে ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সারা বিশ্ব যেখানে কোভিড অতিমারীর সময় কষ্ট করছে, বাংলাদেশে তো হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা সেভাবে করেছি। এখনও আমাদের চ্যালেঞ্জিং টাইম, এটা স্বীকার করি। ইটস আ চ্যালেঞ্জিং টাইম।
“চ্যালেঞ্জগুলো যখন আসে জানালা দিয়ে, একই সময় দরজা জানালা সব দিক থেকে অপরচুনিটিগুলো আসতে থাকে। আমি মনে করি অসংখ্য অপরচুনিটি আসবে। কেউ কি চিন্তা করেছে যে আমাদের রপ্তানি বেড়ে যাবে ৫০ বিলিয়ন ডলার? এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে কোনো একটি দেশ পাওয়া যাবে না যাদের রপ্তানিবাণিজ্যে এই পরিমাণ প্রবৃদ্ধি আছে।”
প্রবাসী আয়ে নগদ প্রণোদনা দেওয়ায় রেমিটেন্স ‘দ্বিগুণ’ হয়ে গেছে এবং রাজস্ব আয়ের অনেক সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “চার কোটি মানুষ মধ্যম আয়ের সামর্থ্য ধারণ করে। এক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাইজড করব।”
আমদানি পণ্যের পরিপূরক দেশি পণ্যের ওপর আগের বছরই কর ছাড় দিয়ে রেখেছিলেন অর্থমন্ত্রী। নতুন বছরে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোর ক্ষেত্রে করপোরেট করহারে সমতা এনেছেন। নতুন নতুন পণ্যের নতুন বাজার ধরার পথ মসৃণ করতে বিভিন্ন রকম শুল্ক ছাড় দিয়েছেন
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশের ভেতরে কোনো পণ্য উৎপাদিত হলে, সেসব জিনিস বিদেশ থেকে আমদানি করাটা আমি ভালোভাবে দেখি না। িএ জিনিসগুলোই বাজেটে উঠে আসছে। দেশের ভেতরে যে জিনিস তৈরি হবে, সেগুলো বিদেশ থেকে আনতে গেলে আমরা বিভিন্নভাবে নিরুৎসাহিত করব। এভাবেই ‘মেইড ইন বাংলাদেশকে’ আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।”মুস্তফা কামাল সেজন্য বিদ্যমান চাহিদার লাগাম টেনে সরবরাহ বাড়ানোকেই মূল কৌশল ভাবছেন।
একদিকে মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে বাজারে সরবরাহ ঘাটতির ফাঁদে পড়া মানুষের চাহিদায় লাগাম দেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের মাঝে যেন মিসম্যাচ না হয় সেটাই আমাদের কাজ। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ বাজেট করলে বাজেটটা বাস্তবায়ন হয়, তার চেয়ে একটু বাড়িয়ে প্রতিবছর বাজেট করা হয়ে থাকে। এটা আমাদের নিয়ম, যদি ভালো করে ফেলতে পারি তাহলে বাস্তবায়ন হয়ে যায়। এবার আমরা ওই ডিমান্ডটাকে বুঝিয়েছি যেটা ম্যানেজেবল, যেটা গেটএবল।”
তবে বিশ্ব পরিস্থিতি যে অনুকূল নয়, সে কথাও মানছেন মুস্তফা কামাল।
“সারা বিশ্বের বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই অবগত। গত এক বছরে সারা বিশ্বে এসব জিনিসগুলো দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে দেশীয় প্রোডাক্ট ও আমদানি প্রোডাক্ট। দেশীয় প্রডাক্টগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। কিন্তু আমদানি পণ্যগুলো সারাবিশ্বেই অস্থির।”
বাজেটে মূলস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার ব্যবস্থাপনায় কোনো নির্দেশনা নেই বলে যে অভিযোগ, সে প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা কথা দিচ্ছি, বাজারে অস্থিরতা থাকবে না। এটা বন্ধ করার জন্য সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি সরকার এখানে ফেইল করবে না।”
চ্যালেঞ্জ মোকাবলার কৌশল নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, “চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমানো ও সাপ্লাই বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। সাপ্লাই বাড়ানো বলতে আমরা উৎপাদন বাড়ানোকে বুঝিয়েছি। এজন্য কৃষিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছি। এনবিআরের মাধ্যমে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার সবগুলোই উৎপাদন বাড়ানোর কথা চিন্তা করে।
“ডিমান্ড কমানো বলতে সরকারের বাজেটের সাইজকে কমানো বুঝিয়েছি। গতবছর বাজেট ছিল জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এবার সেটা ১৫ দশমিক ২ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। এছাড়া কৃচ্ছ্র সাধনের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। জুলাইয়ের পর কৃচ্ছ্র সাধনের আরও কিছু উদ্যোগ দেখতে পাবেন।”
বিষয়টি আরেকটু ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, “কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে নিরুৎসাহিত করা হবে। যেসব জিনিস দেশে পাওয়া যায়, সেগুলো বিদেশ থকে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হবে। প্রকল্পগুলো নেওয়া হয় দুটো উদ্দেশ্যে। হয় রেভিনিউ আসবে অথবা রেভিনিউ আসতে সাহায্য করবে। অল্প কিছু প্রকল্প আছে, এর কোনোটাই হয় না। তৃতীয় ধরনের প্রকল্প বন্ধ রেখে প্রথম দুটি পর্যায়ে কাজ বাড়াব।”
খাদ্য উৎপাদন কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেই উদ্যোগ নেওয়ার এবং কৃষিতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা সংবাদ সম্মেলনে বলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, “এবারের বাজেট কিছুটা সঙ্কোচনমূলক। সরকারের ব্যয় মানে জনগণের আয়। আয় বেড়ে যাওয়া মানে বর্ধিত চাহিদা তৈরি হওয়া। জিডিপির সাড়ে ১৭ থেকে কমিয়ে সাড়ে ১৫ করার মানেই হল এটা।”

এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় আলোচিত বিষয় হল বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ কর দিয়ে বিনাপ্রশ্নে বৈধ করার সুযোগ।
এর ফলে ১৫ থেকে ৭ শতাংশ কর দিয়ে বিদেশে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দেশে সরকারের খাতায় বৈধ আয়ের তালিকায় যুক্ত করা যাবে, সেই অর্থ দেশেও আনা যাবে। ওই আয়ের উৎসব জানতে চাওয়া হবে না।
এ ধরনের সুযোগ দেওয়ার সমালোচনা হচ্ছে নানা মহল থেকে। অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান একে দেখছেন টাকা পাচারের ‘এক ধরনের স্বীকৃতি’ হিসেবে। আর সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এ প্রস্তাব নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, অর্থনৈতিকভাবে যৌক্তিক নয় এবং রাজনৈতিকভাবেও জনগণের কাছে উপস্থাপনযোগ্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন আইনি ভাষা দিয়ে।
“বাজেটে টাকা পাচারের কথা বলা হয়নি। যেটা বলা হয়েছে বিদেশে অর্জিত আয়ের কথা। টাকা পাচারের বিষয়ে আইন আছে। ডিপার্টমেন্ট আছে। ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট। এছাড়া অনেক সময় মিডিয়াতে বলা হয় সুইস ব্যাংকে টাকা রাখা আছে। সেটার ৯৫ শতাংশই বাংলাদেশের মানুষ বিদেশের মধ্যেই আয় করে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গিয়ে সুইস ব্যাংকে রাখছে এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।”
আর অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন মারফতি ভাষায়।
“প্রথমত টাকার একটা ধর্ম আছে। টাকা যেখানে বেশি সুখ বিলাস ও রিটার্ন বেশি পায়, সেখানে চলে যায়। টাকা যারা পাচার করে, সুটকেসে ভরে পাচার করে না। এখন ডিজিটাল যুগ। বিভিন্ন টুলস ও ইউনিফর্মসে টাকা পাচার হয়।”
ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, নরওয়ের মত দেশও পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে ছাড় দেয় দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন কারণে টাকা পাচার হয়ে যায়। টাকা পাচার হয় না এটা আমি কখনো বলি নাই। কিন্তু কোনো প্রমাণ ছাড়া বললে সেগুলো আমরা মানি না। যারা দেশের ভেতরে এসব কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আছে, অনেকে জেলে আছে। সরকার যে একেবারেই নির্লিপ্ত তা কিন্তু নয়।
“আমরা আইডিয়া করছি যে টাকা পাচার হয়ে গেছে। যদি পাচার হয়েও থাকে… সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।”
মুস্তফা কামালের ভাষায়, “যারা নিয়ে গেছেন অপরাধ না জেনে, বুঝতেই পারেননি, না বুঝেই নিয়ে গেছেন। সেজন্য তো হোয়াইট করার জন্য… সেগুলোকে আমাদের অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আনার জন্যে এ কাজটি করা হবে।”
নিজের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “যেটা পাচার হয়ে গেছে সেটা এদেশের মানুষের হক। যদি বাধা দিই তবে আসবে না। যদি না আসে আমাদের লাভটা কী? আমরা চাই, অন্য দেশ যা করে, আমরা তাই করতে যাচ্ছি। ১৭টা দেশ অ্যামনেস্টি দিয়ে টাকা ফেরত আনছে।”

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে শুক্রবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ব্যাংক ঋণ ‘সমস্যা নয়’
প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা জিডিপির ৫.৫ শতাংশ।
আর এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার মতো ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এবারই প্রথম ব্যাংক থেকে এক লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে। তাতে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, “আমাদের যে মোট মানি সাপ্লাই, সেখান থেকে আমরা এক লাখ ৬ হাজার কোটি টাকার মত নেব। এটা হচ্ছে মোট মানি সাপ্লাইয়ের মাত্র ৬ শতাংশ, বাকি ৯৪ শতাংশ থাকবে বেসরকারি খাতের জন্য।”
মুদ্রানীতিতে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ ‘মানি গ্রোথ’ প্রত্যাশা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী অর্থবছরে যে মূল্যস্ফীতির টার্গেট করেছি, সেখানে ১৫ শতাংশ মানি সাপ্লাই গ্রোথ যদি ধরে নিই, তাহলে মানি সাপ্লাই থেকেই সব ঋণ এসে যাবে। বরং ব্যাংকগুলো তাদের অলস টাকা সরকারকে দেওয়ার সুযোগ পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :