ড়িমারী স্থলবন্দরে ৫ মাস ধরে বন্ধ তুলা, সূতা ও পাটের বর্জ্য রপ্তানি


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩, ৪:৫২ অপরাহ্ণ / ২৭
ড়িমারী স্থলবন্দরে ৫ মাস ধরে বন্ধ তুলা, সূতা ও পাটের বর্জ্য রপ্তানি

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বর্জ্য তুলা ও সূতা এবং পাটের বর্জ্য রপ্তানি গত প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের তুলা ও সূতা রপ্তানিকারকরা জানায়, গত ১২ এপ্রিল ভারতের আমদানিকারকরা জানায়- এ স্থলবন্দর দিয়ে আর এ সকল সামগ্রী আমদানির অনুমতি দিচ্ছেন না চ্যাংড়াবান্ধা স্থল শুল্ক (কাস্টমস্) দপ্তর। ভারতীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 

এ ব্যাপারে জানতে বুড়িমারী স্থল শুল্ক (কাস্টমস্) কর্তৃপক্ষের স্মরণাপন্ন হয় এ স্থলবন্দরের বর্জ্য তুলা ও সূতা রপ্তানিকারকেরা। কর্তৃপক্ষ ভারতের চ্যাংড়াবান্দা স্থল শুল্ক (কাস্টমস্) দপ্তরের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে মৌখিকভাবে জানতে পারে- ‘সে দেশের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আপাতত বর্জ্য তুলা ও সূতা এবং পাটের বর্জ্য সে দেশে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রকের অনুমতি নিয়ে এসব বর্জ্য পণ্য যেকোনো দেশ থেকে আমদানি করা যাবে।’

প্রায় ১ মাস পর গত ১০ মে ভারতের জলপাইগুড়ি ফুলবাড়ী ল্যান্ড কাস্টমস্ স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সে দেশের (ভারত) আমদানিকারকদেরকে চ্যাংড়াবান্ধা কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ দেয়। চিঠিতে ভারতীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র বা অনুমতিপত্র ছাড়া বাংলাদেশ হতে বর্জ্য তুলা ও সূতা এবং পাটের বর্জ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়। একই নিয়ম এ স্থলবন্দরে চালু করেন ভারতের ফুলবাড়ি ও চ্যাংড়াবান্ধার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক গ্রপের সভাপতি রুহুল আমীন বাবুল বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরের শুরু থেকে বর্জ্য তুলা ও সূতাসহ বিভিন্ন পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হত কিন্তু হঠাৎ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সে দেশে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ বন্দর দিয়ে না নিয়ে অন্য বন্দর দিয়ে নিচ্ছে।

ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ারডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কুমার সাহা বলেন, ‘আমাদের চ্যাংড়াবান্ধা কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বা সনদপত্র ছাড়া তুলা ও সূতা আমদানি করতে নিষেধ করেছে। শুরু থেকে এ সব পণ্য অনেক ছোট-বড় আমদানিকারক আমদানি করে আসছে বর্তমানে অন্য বন্দর দিয়ে এসব ঢুকছে আমাদের এদিক হতে বন্ধ রয়েছে।’

 

এ ব্যাপারে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস্ সহকারী কমিশনার (এসি) নিমা শেরপা জানান, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে যথাযথ পদ্ধতিতে আমদানি চলছে। ‘বর্জ্য তুলা ও সূতা এবং পাটের বর্জ্য আমদানি বন্ধ করা হয়নি বরং পরিবেশ দূষণের বিষয়টি ঠিক রেখে ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু ।

 

বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার আব্দুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সে দেশের কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করেছি, তাঁরা জানিয়েছে তাঁদের দেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া এ সামগ্রী গুলো আমদানি করতে দিবে না।’